‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাই’, নিষিদ্ধ হল কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট

বিতর্ক এবং তাঁর মন্তব্য প্রায় সমার্থক। কঙ্গনা রানাওয়াত। রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পীমহল— তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েন না কেউ-ই। হাতিয়ার টুইটার। তবে বলি-অভিনেত্রীর আক্রমণাত্মক টুইট কখনও কখনও পৌঁছে যায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে। বাংলার নির্বাচন ঘিরে বিগত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে একাধিক টুইট করেছিলেন কঙ্গনা। যেখানে স্পষ্ট ছিল হিংসার আভাস। আর তার জেরেই এবার চিরকালের মতো তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করল টুইটার।

গত ২ মে বাংলার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই টুইটারে রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন কঙ্গনা। কোথাও বাংলার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা করেন তিনি। আবার কোনো টুইটে দাবি করেন, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান শক্তি। পছন্দের দলে সমর্থনে কথা বলতে গিয়ে ধর্মগত বৈষম্যকেই উস্কে দিচ্ছিলেন তিনি, অভিযোগ এমনটাই। 

গতকাল বাঙালি তথা রাজ্যের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক একাধিক মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় ধর্মভিত্তিক দাঙ্গা বাঁধাবার চেষ্টা করছেন কঙ্গনা। আর তার ঠিক পরদিনই প্রকাশ্যে এল কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সংবাদ। যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় ঠিক কী কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট। শুধু জানানো হয়েছে, মাইক্রো-ব্লগিং সাইটের নির্দেশিকা ও নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি শাসনের। এমনকি হিংসামূলক কার্যকলাপ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘প্রথম দশকের রূপ’ ধারণ করার অনুরোধ করেন তিনি। কঙ্গনার এই মন্তব্য ঘিরেই গতকাল থেকে সরগরম ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নেটিজেনদের অনেকেই। সেই বিতর্ক যে এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে, তা জানা ছিল না কারোরই। তবে এসবের পরেও অবিচল কঙ্গনা। জানিয়েছেন, টুইটার তাঁকে ‘ব্যান’ করলেও ‘প্রতিবাদ’-এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য প্ল্যাটফর্ম খুঁজে নেবেন তিনি…

আরও পড়ুন
মাদককাণ্ডে উঠে আসছে দীপিকা-সারার নাম; কেন তলব পাননি কঙ্গনা? টালমাটাল বলিউড

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
সৎসাহস নাকি খ্যাতির মোহ? বলিউডের অনিবার্য অস্বস্তি কঙ্গনা ও একটি ‘সুখী’ দেশের গল্প