বাড়িতে বসেই বড়ো পর্দায় সিনেমা দেখছেন অসংখ্য মানুষ, চমক আয়ারল্যান্ডে

অনেকগুলো দিন কেটে গেল, করোনা ভাইরাসের দাপটে স্তব্ধ সারা পৃথিবী। সরকারিভাবে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তবে শারীরিক দূরত্ব মানেই কি সামাজিক দূরত্ব? এই ধারণাটাই বদলাতে চান অনেকে। ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশেও সামাজিক যৌথতার স্বাদ দিতে এবং পেতে চান তাঁরা। ঘরে বসে সামাজিক মাধ্যমে অনেক মরচে পড়া সম্পর্কই ফিরে ফিরে আসছে। কিন্তু তার মধ্যেও যেন কোথাও সামাজিক জীবনের উষ্ণ উদযাপনের অভাব থেকে যাচ্ছে। যে উদযাপন হয় সিনেমা, থিয়েটার, ক্লাব, লাইব্রেরিতে। কিন্তু লকডাউনের জেরে এই সব সুযোগই যে এখন বন্ধ। তাহলে উপায়?

আরও পড়ুন
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, ডাক্তারির পেশায় ফিরছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিজেদের মতো করে উপায় খুঁজছেন অনেকেই। অনেক উদ্যোগ বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। তেমনই এক অভিনব উদ্যোগের সাক্ষী আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটি। উদ্যোগ নিলেন সেখানকার কয়েকজন থিয়েটার কর্মী। থিয়েটারের সুযোগ নেই তো কী হয়েছে? শহরের প্রতিটি মানুষ একসঙ্গে দেখলেন মনরোর বিখ্যাত কমেডি সিনেমা 'জেন্টেলম্যান প্রেফার ব্লন্ডস'। ভাবছেন ইন্টারনেট ব্রডকাস্টের মাধ্যমে? একদমই তা নয়। রীতিমতো বড় পর্দায় শহরের সমস্ত মানুষ একসঙ্গে উপভোগ করলেন সিনেমাটি। ঠিক সিনেমা হলে যেমন হয়।

আরও পড়ুন
তরুণদের বাঁচাতে ভেন্টিলেটর প্রত্যাখ্যান, মৃত্যুতে ঢলে পড়লেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

তবে এক্ষেত্রে বাড়ি থেকে বেরোননি কেউই। ডাক্তারদের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে বাড়িতে বসেই সবাই সিনেমা দেখলেন। আর সিনেমার পর্দা বলতে একটি পুরনো কারখানা বাড়ির চিলেকোঠার ঘরের দেয়াল। সেখানেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে সিনেমার দৃশ্যায়ন ঘটানো হল। আর প্রত্যেকে নিজের বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় বসে সেই সিনেমা দেখলেন।

আরও পড়ুন
দরিদ্রদের হাতে তুলে দিলেন নগদ অর্থ, মানবতার অনন্য নজির অস্ট্রেলিয়ায়

শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেও যে সামাজিক মেলামেশা বজায় রাখা যায়, সেই ছবিই তুলে ধরলেন সাইক্লোন রেপ থিয়েটারের উদ্যোক্তারা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের মানুষও। মানুষের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া তাঁরা পেয়েছেন, তাতে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ। তেমনটাই জানিয়েছেন কোম্পানির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর স্কট ডাগন।

আরও পড়ুন
গোটা পৃথিবী আক্রান্ত করোনায়, সুরক্ষিত মাত্র ১৮টি দেশ!

সারাদিনের একাকিত্বের মধ্যে এই উদ্যোগগুলোই আরেকবার মনে করিয়ে দেয়, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থায় ভিতরে ভিতরে হাঁপিয়ে উঠেছেন প্রত্যেকেই। তবে ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা তো মাথায় রাখতেই হবে। তার মধ্যেই এভাবে সামাজিক উদযাপনে মেতে উঠুক সবাই।