মাঝারি গড়নের হলদে রঙের এক ধরনের বিড়াল ক্যাকারাল। তাদের চেনা যায় কানের কাছে লম্বা চুলের গুচ্ছ দেখে। একসময় ভারতের নানা রাজ্যেই দেখা যেত এই বিড়াল। তবে ক্রমাগত বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার ফলে তাদের বাসস্থান লোপ পেয়েছে। এখন এদের বিরল প্রজাতির আখ্যা দেওয়া হয়। তবে রনোথম্বর রিজার্ভ ফরেস্টে এখনও বেশ কিছু ক্যাকারাল বাস করে। তাদের সংখ্যাও বেশি নয়। বড়জোর ২০টি প্রাণীর বাস সেখানে। তার উপর এতটাই লাজুক প্রজাতির প্রাণী এরা, যে সহজে মানুষের সামনে দেখা দিতে চায় না। ছবি তোলা তো অনেক পরের কথা। তবে মঙ্গলবার তেমন বিরল একটি ছবিই উঠল বনকর্মীদের ক্যামেরায়। ছবিতে দুটি ক্যাকারালকে মারামারি করতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
এবার বাঘের শরীরেও হানা দিল করোনা, পরীক্ষার পর নিশ্চিত ডাক্তাররা
বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, নিশাচর শিকারি প্রজাতির এই প্রাণীটি মৃতদেহ এবং বিভিন্ন পাখির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। অসম্ভব তৎপরতার সঙ্গে শিকারের কাজ সারে তারা। ফলে ফাঁদ পেতে রেখেও ধরা খুব মুস্কিল হয়। তবে আশেপাশে মানুষের আনাগোনা না থাকলে তারা খানিকটা খোলামেলাভাবে চলাফেরা করে। আর সাম্প্রতিক লকডাউনের জেরে বনের মধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা সম্পূর্ণ বন্ধ। এই সুযোগেই তারা নিজেদের মধ্যে খেলায় মেতেছিল। আর বনকর্মীদের ক্যামেরায় সেই ছবিই ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন
অসুস্থ বৃদ্ধার বাজার করে দিচ্ছে প্রতিবেশী কুকুর, লকডাউনে বন্ধুত্বের ছবি
বিরল প্রজাতির এইসব প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু মানুষের সম্মন্ধে তাদের যে দীর্ঘদিনের আতঙ্ক, সেটা তো এত সহজে যাওয়ার কথা নয়। অথচ লকডাউনের সময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে পশুপাখিদের স্বচ্ছন্দ ঘুরে বেড়ানোর খবর শোনা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বন্য প্রাণীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের রাস্তায়। প্রকৃতি পরিবেশের উপর মানুষ যে দীর্ঘ অত্যাচার চালিয়েছে, তারই প্রভাব বোঝা যাচ্ছে এখন। এর শেষ কোথায়, তা হয়তো কেউ জানে না। তবে বন্য প্রাণীদের বাঁচাতে না পারলে যে আমাদের অস্তিত্বও সংকটের মধ্যে পড়বে।