আমেরিকা। পৃথিবীর সবথেকে বড় অর্থনীতির দেশ। তা সত্ত্বেও, করোনা ভাইরাসের দাপটে আর্থিক মন্দার মুখোমুখি মার্কিন মুলুক। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে কর্মী ছাঁটাই। বৃহস্পতিবার মার্কিন শ্রমমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই এক সপ্তাহে চাকরি হারিয়েছেন ৬৬ লক্ষ মানুষ। আবেদন করেছেন বেকারত্ব বিমার জন্য। তার আগের দু’সপ্তাহে আরও ১ কোটি ২ লক্ষ মানুষের আবেদনের কথা জানা গেছে।
বলাই বাহুল্য, অর্থনীতির এই নিম্নমুখী গ্রাফের কারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এখন কোভিড-১৯ এর এপিসেন্টার বা হটস্পট আমেরিকা। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন প্রায় পনেরো হাজার। কঠোর করা হচ্ছে বিধি। কিন্তু লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। প্রায় ৯৫ শতাংশ মার্কিন অধিবাসীই গৃহবন্দি। কাজেই ব্যবসা এবং অন্যান্য সকল কারখানাগুলি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই মন্দা সামলাতে চলছে কর্মীছাঁটাই।
পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে দিন দিন। ত্রাণ হিসাবে মার্কিন প্রশাসন ২০০ কোটি ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছেন। যা বেকারদের বাড়ির খরচ এবং ব্যবসায় সাহায্য করবে আশা করছে ইউএস কংগ্রেস। তবে অনেকেই এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না শ্রমবিভাগে। ২০০-৩০০ বার ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না হেল্পলাইনের উত্তর।
আসন্ন দিনগুলিতে চলতে পারে আরো কর্মীছাঁটাই। বেকারত্ব বাড়তে পারে আরও। সমস্ত মার্কিন অর্থনীতিবিদদের কাছে প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে এটিই। আশঙ্কা, বড়-সড় আর্থিক মন্দা ঘায়েল করতে পারে আমেরিকাকে। তবে এখন আমেরিকার সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ মারণ ভাইরাসের এই কঠিনতম পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা। সামলে ওঠা মৃত্যুমিছিল।