সাধারণ শিল্পী থেকে রাতারাতি বিশ্বের দরবারে, হোয়াটসঅ্যাপই জীবন বদলে দিয়েছে নারায়ণনের

শিল্পে মাধ্যম পাল্টাচ্ছে। বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আঁকা ছবির কদর। কিন্তু কেরালার অভানাভু নারায়ণান কাগজকেই তাঁর মাধ্যম হিসেবে ধরে রেখেছেন। বরং সে-সমস্ত ছবি নিজেই হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে ভাইরাল করলেন তিনি। প্রতিদিন অন্তত ৫০০০ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তাঁর আঁকা ছবি।

প্রতিনিয়ত নাম ছাড়াই কারও না কারও আঁকা ছবি এসে পৌঁছাত নারায়ণানের কাছে। তখনই এই পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। নিজে এঁকে ছবি বন্ধুদের কাছে পাঠাবেন নিজেই। সকাল সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠে, পাঁচটার মধ্যে এথ্রি আর এফোর সাইজের কাগজে তিনি ছবি আঁকেন রোজ। তারপর সেই ছবি বন্ধুদের কাছে ব্রডকাস্ট করে পাঠান।

ছোট থেকেই আঁকা শিখতেন তিনি। এরপরে তিনি ভেন্নারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আঁকার শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শিল্পের কদর জনমানসের কাছে সহজেই পৌঁছে দিতে এমন ভাবনা ভেবেছিলেন তিনি।

২০১১ ও ২০১৪ সালে পেয়েছেন কেরালার ললিতকলা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। ছত্রিশটিরও বেশি সোলো এক্সিবিশন করেছেন তিনি। কিন্তু এতদিন সাধারণ মানুষের কাছে অধরাই ছিল তাঁর শিল্প। টেকনোলজির সাহায্যে আজ মিটেছে সেই প্রতিবন্ধকতাও…