কাজে বাধা নয় কিছুই, অটো-ক্যাব চালাচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের দুই মানুষ

ছোটবেলা থেকেই কারও কারও শরীর হয় অন্যরকম, মন যেদিকে সায় দেয়, তাঁরা তাই হতে চান। কেউ নারী থেকে পুরুষ, আবার কেউ পুরুষ থেকে নারী। কিন্তু সমাজে তাঁদের নিচু চোখে দেখেন অনেকেই। কাজের ক্ষেত্রে লিঙ্গের কোনো ভেদাভেদ নেই, সে চিন্তায় এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি দেশ। কিন্তু পাল্টাচ্ছে সমাজ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের তুলে ধরছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা। কেউ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল, কেউ চালাচ্ছেন ক্যাব। ক্রমশ গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁদের প্রতিভা। সম্প্রতি খবরের শিরোনাম হলেন এমনই দুজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।

মেঘনা সাহু এবং রানি কুমার দুজনেই গাড়ি চালিয়ে পয়সা উপার্জন করছেন। রানি একসময় ট্রেনে ঘুরে ঘুরে পেটের ভাত জোগাড় করতেন, কিন্তু নিজের মানসিকতা বদলে তিনি এখন ভুবনেশ্বরের একজন অটো ড্রাইভার। অন্যদিকে মেঘনা এমবিএ পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি গুরগাঁও-য়ে ক্যাব চালিয়ে টাকা উপার্জন করেন।

আজও ভারতের ইতিউতি রাস্তাঘাটে মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে এই দুজন মানুষের এগিয়ে আসা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করবে। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে নয়, ভারতের মহিলাদের জীবন সুরক্ষিত করতেই তাঁদের এমন জীবিকা বেছে নেওয়া। এমনকি, ওলা কোম্পানির আধিকারিকরাও মেঘনাকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছেন।

রানি ও মেঘনার এই লড়াই আগামী দিনে উদ্বুদ্ধ করবে তৃতীয় লিঙ্গের বহু মানুষকেই। লিঙ্গ নির্ধারণ করে কর্মক্ষমতায় ভেদাভেদ আনার বিরুদ্ধে নতুন মুখ এই দুজন।