ভেঙে পড়ছে গাছ, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে বাঁচাল চেন্নাই-এর স্কুল

পাঁচ লাখ টাকা পেলে ঠিক কী কী করা যায়? গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ যাত্রা— আরও অনেক কিছুই মাথায় আসবে আমাদের। কিন্তু এই টাকা খরচ করে একটি গাছও যে বাঁচানো যায়, সেটা কি চট করে ভাববে কেউ? এই কাজটাই করেছে চেন্নাইয়ের একটি স্কুল। শুধু গাছ নয়; ওখানে যে পাখিরা বাস করত, রক্ষা পেল তারাও।

চেন্নাইয়ের ডোভেটান গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ক্যাম্পাসেই রয়েছে একটি রেইন ট্রি। প্রায় ৮০ বছরের পুরনো গাছটি নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। কালে কালে স্কুলের সঙ্গেও যেন আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হয়েছে। এখন বয়সের ভারে গাছটি প্রায় পড়ে যাচ্ছিল। সেটা যাতে না হয়, তার জন্য বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে কংক্রিটের বেসমেন্ট এবং তার চারপাশে লোহার শক্ত বেড়া তৈরি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আর ঝরে পড়তে হয়নি তাকে। আবারও যেন নতুনভাবে বেড়ে ওঠার সাহস পেয়েছে গাছটি।

অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়। ২০১৬ সালে সাইক্লোন ভারদা’র চেন্নাই আক্রমণের সময় বিপুল গাছ নষ্ট হয়েছিল। সেই ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও ডোভেটান স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবাই মিলে এই গাছটিকে রক্ষা করেছিল। যা সেই সময় নানা মহলের প্রশংসা করেছিল। আবারও সেই কাজই করলেন তাঁরা। আর করবেন নাই বা কেন! এই রেইন-ট্রি যে তাদের একান্ত আপন। তবে শুধু গাছটিই নয়, গাছের বাসিন্দারাও যে খুব পছন্দের। ৮০ বছরের পুরনো গাছটি টিয়াপাখিদের আস্তানা। সেইজন্যই আট থেকে আশির আরও প্রিয় স্থান এটি।

একটি গাছ বাঁচানোর খবর শুধু নয়। এটি একটি উদ্যোগ। যে উদ্যোগ সমাজের সব জায়গায়, সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়া উচিত বলে বলে আসছেন পরিবেশবিদরা। একটা গাছকে বাঁচাতে সবাই এরকমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুধু তো গাছ নয়, রয়েছে অতগুলো পাখির জীবনও। তাদের ঘর নষ্ট হয়ে যেত। চেন্নাইয়ের স্কুলটির মতো সমস্ত জায়গায় যাতে এরকম উদ্যোগ বারবার হয়, সেটাই এখন বলছেন অনেকে।