চেনা চিংড়ির অচেনা পদ - নারকেল বাটার ভুনা চিংড়ি

কথায় বলে, ঘটিদের চিংড়ি আর বাঙালদের ইলিশ। বলাই বাহুল্য, কথাটায় ঘোরতর সরলীকরণ আছে। ইলিশ যেমন দুই বাংলার, চিংড়িও তাই। চিংড়িকে অবশ্য অনায়াসে বিশ্বজনীনও বলা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশ তো বটেই, ইউরোপেও চিংড়ির বেশ কদর। সে যাহোক, বাংলার চিংড়ির পদ বাংলারই। আর, সেই পদেরও যে কত রকমফের। এই যেমন আজকের পদ। নারকেল বাটার ভুনা চিংড়ি। নামটা অচেনা ঠেকছে? পদটাও কিন্তু খুব চেনা নয়। এর স্বাদে বুঁদ হতে গেলে রেসিপিটা যে জানতেই হবে।

কী কী লাগবে?

টাইগার চিংড়ি- ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ-কুচি- ১টা মাঝারি
টমেটো-কুচি- ১টা বড়
লঙ্কাকুচি- ৬টা
নারকেল বাটা- ৪ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ- ১ কাপ
হলুদ-গুঁড়ো- ১ চামচ
লঙ্কা-গুঁড়ো- ২ চামচ
ভাজা মশলা-গুঁড়ো (এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, গোটা ধনে, জিরে) - হাফ চা-চামচ
শুকনো লঙ্কা- ২টো
দারুচিনি- ১ টুকরো
এলাচ- ২টো
কালোজিরা- সামান্য
সরষের তেল, নুন, চিনি, নারকেলের জল (নারকেল ভাঙার পর জলটা ছাকনি দিয়ে ছেঁকে তুলে রাখবেন) পরিমাণ মতো দেবেন।

কীভাবে রাঁধবেন?

১। চিংড়িগুলোকে নুন-হলুদ মাখিয়ে কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য সাঁতলে তুলে নিন।
২। ওই কড়াইতেই প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে, তাতে দারুচিনি, এলাচ, কালো জিরে ফোড়ন দিন।
৩। পেঁয়াজ-কুচি, টমেটো-কুচি, লঙ্কা-কুচি, নুন, হলুদ মিশিয়ে মিনিট তিন কষান।
৪। সামান্য নারকেলের জল দিন। আবার কষান তিন-চার সেকেন্ড।
৫। নারকেলবাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তাতে ভাজা মশলাগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো আর খুব সামান্য চিনি যোগ করে প্রয়োজনমতো নারকেলের জল দিয়ে ভালোমতো কষিয়ে নিন।
৬। মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে নারকেলের দুধ ঢেলে দিন।
৭। চিংড়িমাছগুলো ঢেলে দিন। ঢাকা-চাপা দিয়ে অল্প আঁচে মিনিট পনেরো কষান। মাঝে মাঝে ঢাকা তুলে নেড়ে নিতে ভুলবেন না।
৮। মাখো-মাখো ভাব চলে এলে অন্য একটি কড়াইয়ে সামান্য ঘি গরম করে, তাতে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে ওই ঘি-শুকনো লঙ্কা রান্নার উপর ঢেলে দিন।

ব্যাস, নারকেল বাটার ভুনা চিংড়ি তৈরি। এবার পরিবেশন আর গলাধঃকরণের অপেক্ষা।