স্টলের ভাড়া বাড়ল প্রায় ১২ গুণ, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় বই-বিক্রেতারা

ট্রেন লেট, কিংবা অনেক আগে এসে পড়েছেন স্টেশনে, চিন্তা করবেন না, যদি আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে স্টেশনেই কাটিয়ে দিতে পারেন বাকি সময়টুকু।

অনেক যাত্রীই বই কিনতে চলে যান রেলের বইয়ের দোকানে। সেখান থেকে কাগজ, পত্রিকা, বই কেনেন। স্টেশনে বসে অথবা দাঁড়িয়ে বইপত্র পড়ে কেটে যায় অনেকটা সময়। অনেকে বই কিনে ট্রেনে ওঠেন। নামি-দামি লেখকদের উপন্যাসও পাওয়া যায় দোকানগুলিতে। ফলে, ট্রেনের যাত্রাপথ মন্দ কাটে না।

এতদিন এই সমস্ত দোকানের মালিকরা রেলকে বছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতেন। সম্প্রতি ভারতীয় রেল নিজেদের আয় বাড়াতে এক ধাক্কায় প্রতিমাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করল দোকানগুলির জন্য।

এখন থেকে সমস্ত হুইলারদের বছরে পাঁচ লক্ষ পঁচাশি হাজার একশো টাকা করে দিতে হবে রেলকে। যদিও ভারতীয় রেল বই ছাড়াও অন্যান্য জিনিস যেমন তেল, সাবান, কসমেটিকস রাখবার অনুমতি দিয়েছে হুইলারদের।

যদিও স্টলের ভাড়া এক এক স্টেশনে এক-এক রকম, স্টেশনের মানের উপর নির্ভর করে। হাওড়া ডিভিশনের ব্যান্ডেল, বর্ধমানে স্টলের ভাড়া পাঁচ লক্ষ পঁচাশি হাজার একশো টাকা। বোলপুরে সেই ভাড়া এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার তেষট্টি টাকা।

তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ যে, অনেক অবৈধ দোকানদার রমরমিয়ে ব্যবসা করছে রাজনৈতিক নেতাদের মদতে। এক পয়সাও দিতে হচ্ছে না রেলকে। এর ফলে যারা বৈধ ভাবে বেচাকেনা করছেন তাদের সমস্যা হচ্ছে।

হাওড়া ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছেও এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানান যে তাঁরা আর পি এফ দিয়ে এদের উচ্ছেদ করতে পারছেন না কারণ সেক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পর্যায়ের আধিকারিকের রাজ্যের জন্য অনুমতি দিতে হবে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই এর ব্যবস্থা হবে।