আশ্রয়-হারা বিড়ালদের জন্য, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ঘর বানালেন এই ব্যক্তি

জঙ্গলে, আমাদের বাড়িতেই শুধু নয়; রাস্তাঘাটেও ঘুরে বেড়ায় পশুরা। কুকুর, বেড়াল থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু প্রাণী। একসময় এদের কারোর হয়ত একটা আশ্রয় ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছে তারা। এদেরকে আশ্রয় দিতেই উদ্যোগ নিলেন একজন মার্কিনি। বাড়ির বাতিল আইস কুলারকে রিসাইকেল করে তৈরি করলেন এদের বাসা।

আরও পড়ুন
বাতিল টায়ার দিয়ে কুকুর-বিড়ালদের বিছানা তৈরি করেন যুবক

ফেরাল ক্যাট। কোনো বিশেষ প্রজাতির বিড়াল নয় এরা। আমদের আশেপাশেই এদের দেখা যায়। একসময় এরাও কারোর পোষ্য ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয় এদের। রাস্তাতেই কাটাতে হয় জীবন। বহুদিন ধরেই এমনটা লক্ষ্য করছিলেন ফিলিপ রজিচ। সেখান থেকেই আমেরিকার ইউটা প্রদেশের এই বাসিন্দা চেষ্টায় ছিলেন এদের একটা বাসা তৈরির জন্য। কিন্তু মানুষের সংস্পর্শ তো এই অবহেলিত বিড়ালরা এড়িয়েই চলে। ঘরে আর রাখা যাবে না এদের। তাহলে উপায়?

আরও পড়ুন
মিডিয়ার তৈরি গুজব, বাঘ সন্দেহে নাকি ‘হত্যা’ বাঘরোলকে

কাছেই ছিল কিছু পরিত্যক্ত আইস কুলার। ব্যস, সেটাকেই রিসাইকেল করে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করলেন ফিলিপ। কুলার বক্সের গায়ে ড্রিল করে বিড়ালের ঢোকার রাস্তা তৈরি করেছেন; সঙ্গে ভেতরে বিছিয়ে দিয়েছেন খড়। এইরকম ১৫০টি কুলারকে বিড়ালের থাকার জায়গার জন্য তৈরি করেছেন ফিলিপ। ওই এলাকাতেই এগুলো রাখা আছে। ওই ফেরাল বিড়ালদের যাতে আর কষ্ট না হয়; মানুষের ঘর না হোক, এই সব জায়গাতেই যাতে শান্তিতে নিজের মতো থাকতে পারে, সেটাই চান তিনি। ফিলিপের দেখাদেখি আরও কয়েকজন এগিয়ে এসেছেন এই কাজে, যেটা দিনের শেষে তাঁকে উদ্বুদ্ধও করছে।

আরও পড়ুন
জাপানের এই মন্দিরে দেবতা থেকে পুরোহিত সবাই বিড়াল

ফিলিপের মতো মানুষ আমাদের চারপাশেও আছে। কিন্তু তাও এমন ঘটনা ঘটে। আমেরিকার সমস্যাই শুধু নয়, এখানেও এমনটা দেখা যায়। যেখানে থাকত একসময়, সেখান থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় বিড়ালদের। স্বাভাবিকভাবেই, মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে এরা। কিন্তু সমস্যা যে শেষ হয়ে যায়, তা নয়। ফিলিপ রজিচের এই উদ্যোগ একই সঙ্গে দুটো জিনিস করল। ওই একা হয়ে যাওয়া বিড়ালগুলোও একটা জায়গা পেয়েছে; সেই সঙ্গে পুরনো পরিত্যক্ত কুলারকেও নতুনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সব জায়গাতেই এমন প্রয়াস ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই চান ফিলিপ।