সেরে যাবে ভূতের ভয়, 'ভূতবিদ্যা' নিয়ে কোর্স বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে

গভীর রাতে একা একা ঘুমোতে ভয় পান? অথবা পোড়োবাড়ির পাশ দিয়ে যেতে গা ছমছম করে? অনেক মানুষই কখনও সখনও অনুভব করেছেন অশরীরী গা-ছমছম করা তৃতীয় কিছুর উপস্থিতি। আবার কেউ কেউ সেসব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন অবিশ্বাসে। ভূত আছে কী নেই, এ নিয়ে তর্ক শুরু হলে জল অনেকদূর গড়াবে। ভূত বিশারদদের পাল্লায় পড়লে শোনা যায় নানান অস্বস্তিকর কাহিনি। কিন্তু এখন থেকে 'ভূতবিদ্যা' নিয়ে পড়াশোনা করলে মিলবে সার্টিফিকেট, নয়া সিদ্ধান্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের।

কোনো অজানা কারণে অনেকসময় সাইকোস্যোমাটিক ডিসঅর্ডারের প্রভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও কারও মধ্যে সাইক্যোলজিকাল সমস্যাও শুরু হয়। আর এসবের চিকিৎসা ঠিক কীরকম হতে পারে, ছ’মাসের কোর্সে ডাক্তারদের সেসব শেখার সুযোগ করে দিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এই অজানা কারণগুলির পেছনে যে বিভিন্ন রকম ভৌতিক প্রভাব থাকে, আধুনিক যুগে এসেও তা বিশ্বাস করেন অনেকেই। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলার এই কোর্সটি আগামী জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হতে চলেছে। এমবিবিএস, ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এন্ড সার্জারির ডাক্তাররা এই বিষয়টি শিখতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভূত সম্পর্কিত রোগ বা অসুস্থতার চিকিৎসা হবে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে, এমনটিই জানিয়েছেন আয়ুর্বেদিক ফ্যাকাল্টির ডিন যামিনী ভূষণ ত্রিপাঠি। কোর্স শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেটও প্রদান করা হবে সমস্ত ডাক্তারদের।

ভূত নিয়ে বিস্তর গবেষণা বিশ্বব্যাপী বহাল বহুকাল ধরেই। কিন্তু ভারতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা চালু করার ঘটনা এই প্রথম। ভূত নিয়ে আদৌ কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি খাড়া করা হবে কিনা আগামী দিনে, এখন সেটাই দেখার।