আশা ছিল আগেই। সেটা পূরণও হয়ে গেল রাজকীয়ভাবে। হোলির দিনই এই মরসুমের আইলিগের রং হয়ে গেল সবুজ-মেরুন। কল্যাণীতে আইজল এফসি’কে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে আবারও আইলিগ জিতল মোহনবাগান। এই নিয়ে মোট পাঁচবার ভারতসেরা হল বাংলার অন্যতম প্রধান দলটি।
আরও পড়ুন
মুখে চুইংগাম, চোখে শীতল চাহনি – ব্র্যাডম্যান ও শচিনের মধ্যিখানে আজও তিনিই ‘রাজা’
এই মরসুমে ময়দানের দুই প্রধানের খেলা ধরলে, মোহনবাগান অনেকটা এগিয়ে ছিল প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের থেকে। অন্যান্য দলের থেকেও অনেকটা এগিয়ে ছিল তারা। অবস্থা এমনই ছিল যে, আইজলের সঙ্গে ম্যাচটি জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে দল। কর্তা, ফুটবলার থেকে সমর্থক— সবাই ছিল ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু তাও, খেলাটার নাম যে ফুটবল। প্রথমার্ধে যেন একটু সাবধানী ছিল মোহনবাগান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই নিজের রূপ দেখাল তারা। ৭৯ মিনিটে পাপা দিয়াওয়ারার গোলে কাজ হাসিল করে দল। ব্যস, খেল খতম!
আরও পড়ুন
পরজন্মেও মোহন-সমর্থক হতে চেয়েছিলেন উমাকান্ত, আত্মহত্যার ৪৫ বছর পর ফিরল সেই স্মৃতিই
কল্যাণীতে হাজির হওয়া সমর্থকদের উত্তেজনাও ছিল দেখার মতো। দীর্ঘক্ষণ গোল না হওয়ায় খানিক অধৈর্যও হয়ে পড়ছিলেন বোধহয়। তার ওপর কার্ড সমস্যায় আজকের ম্যাচে ছিলেন না ফ্রান মোরান্তে। তাঁর বদলে ড্যানিয়েল সাইরাসকে খেলিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকনা। এদিকে প্রথম থেকেই আইজলের ডিফেন্স ছিল মজবুত। গোলের মুখ খোলেনি অনেকক্ষণ। অপেক্ষা ভাঙালেন সেনেগালের স্ট্রাইকার দিয়াওয়ারা। তাঁর জোরালো শট রোখার কোনো সুযোগই পাননি আইজল কিপার।
আরও পড়ুন
অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক তিনি, ডাক পেয়েছিলেন আর্সেনাল ক্লাব থেকেও
অবশ্য মোহনবাগান বেশ কিছু সুযোগও নষ্ট করেছে। ৫৪ মিনিটে একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। উল্টোদিকে আইজলেরও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ছিল। কিন্তু ফলাফল বদলায়নি। অবশ্য এই জয়ে ইস্টবেঙ্গলেরও খানিক অবদান আছে। শ্রীনগরে ইস্টবেঙ্গল রিয়াল কাশ্মীরকে হারানোর পরই মোহনবাগানের আইলিগ জয় ছিল একটি ম্যাচের অপেক্ষা। অপেক্ষার যে রঙিন অবসান হল, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন
ইস্টবেঙ্গল গোল করলেই বিড়ি ধরাতেন হীরালাল, মোহনবাগানের ছিল ‘ছাতা-ঘোরানো মণ্ডল’
২০১৪-১৫ মরসুমের পর আবারও আইলিগ জিতল মোহনবাগান। এই মরসুমেই এটিকে’র সঙ্গে সংযুক্তি ঘটেছে দলটির। চলতি লিগে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। তার ওপর ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি ঘরে তুলল তারা। বাংলার ফুটবলে আজ যেন সত্যিই রঙের উৎসব!