সেরে উঠেও রেহাই নেই চিনে, ১৪% মানুষ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত করোনায়

তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে চিকিৎসা। একাধিক অ্যান্টিবায়টিকের প্রয়োগ চলেছে শরীরে। আর শেষ পর্যন্ত সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। অন্তত প্রাথমিকভাবে তেমনটাই মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা। ফলে হাসপাতাল থেকে মুক্তিও পেয়েছিলেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার পর্যন্ত চিনের ৯০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন
করোনার টেস্ট কিট তৈরি করল ভারত নিজেই, মাত্র ৬ সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সাফল্য

কিন্তু সত্যিই কি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা? দ্বিতীয়বার সেটা পরীক্ষা করতে গিয়েই মাথায় হাত চিকিৎসকদের। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অনেকের শরীরেই আবার খুঁজে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাস। আর কোনো কোনো প্রদেশে এই সংখ্যাটা ৩ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ। এর মধ্যে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন। অতএব এ-কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আবার নতুন করে ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

আরও পড়ুন
বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চিন ইতালিকে ছাপিয়ে শীর্ষে আমেরিকা

কিন্তু দুবার পরীক্ষায় দুরকম ফলাফল পাওয়া গেল কেন? এর উত্তর অবশ্য চিকিৎসকরাই দিয়েছেন। সাধারণত ভাইরাস শনাক্ত করার জন্য নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট করা হয়। করোনার ক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। কিন্তু এই পরীক্ষা ভুল হওয়ার সম্ভবনাও প্রায় ৫০ শতাংশ। অতএব একাধিকবার যাচাই না করে কিছুতেই কাউকে সুস্থ বলা সম্ভব নয়। এমনকি শরীরে কোনো উপসর্গ না থাকলেও সংক্রমণ যে ঘটেনি এমন কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় না। অন্তত চিনের অভিজ্ঞতা তাই বলছে। আক্রান্ত মানুষদের ৩০ শতাংশের শরীরেই কোনো সংক্রমণ নেই। আর অঙ্কের হিসাবে এই সংখ্যাটা প্রায় ৪০ হাজার। শরীরের মধ্যে দীর্ঘদিন কোনো প্রতিক্রিয়া না ঘটিয়েও থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। এর মধ্যে ঘটতে পারে সংক্রমণও।

আরও পড়ুন
করোনাই শেষ নয়, আরও ভয়ংকর মহামারী আসতে চলেছে, আশঙ্কা পরিবেশবিদদের

করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে এমন নতুন নতুন তথ্য যেন আতঙ্কের পরিবেশ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইনই যেন একমাত্র ভরসা। তাই আপাতত বাড়িতেই থাকুন। আর যদি সম্ভব হয়, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অবশ্যই। কোনো উপসর্গ নেই মানেই সংক্রমণ ঘটেনি, এমনটা কিন্তু নয়।

Latest News See More