যত দিন যাচ্ছে, আতঙ্ক আরও ঘনিয়ে আসছে। করোনার আক্রমণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে থাকাই শ্রেয়। নিজের জন্য তো বটেই, অন্য মানুষের জন্যও। কোত্থেকে ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস, কিছুই বলা সম্ভব নয়। দেশজুড়ে লক-ডাউন ঘোষণা করেছে সরকারও। কিন্তু এদেশে এতদিন গৃহবন্দি হয়ে থাকার মতো পরিকাঠামো কি সত্যিই আছে? প্রশ্ন উঠেছিল স্বাভাবিকভাবেই। আর সেই কথা ভেবে লক-ডাউনের মধ্যেও কিছু জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিল সরকার। তার মধ্যে একটি অবশ্যই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
আরও পড়ুন
করোনার টেস্ট কিট তৈরি করল ভারত নিজেই, মাত্র ৬ সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সাফল্য
সরকারের নির্দেশ মতো ব্যাঙ্ক এবং এটিএম খোলা থাকছে ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকেও কি সংক্রমণের সমূহ সম্ভবনা নেই? উত্তরটা অবশ্যই হ্যাঁ। কিন্তু তাহলে উপায় কী? গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিশেষ পরিষেবা চালু করলো দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সহ বেশ কতগুলি সংস্থা নিয়ে এল এই আপৎকালীন পরিষেবা। ক্যাশ টাকার প্রয়োজন থাকলে যোগাযোগ করুন ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ব্যাঙ্কের কর্মচারী নিজে আপনার বাড়িতে সেটা পৌঁছে দেবেন। কিন্তু দয়া করে বাইরে বেরোবেন না।
আরও পড়ুন
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সৌরভ, দিচ্ছেন ৫০ লক্ষ টাকার চাল
স্টেট ব্যাঙ্কে এই পরিষেবা এতদিন ছিল, তবে শুধুমাত্র বয়স্ক নাগরিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য। তবে লক-ডাউনের সময় প্রত্যেক গ্রাহকই এই সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে। কেবলমাত্র সার্ভিস চার্জ বাবদ দিতে হবে ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন
করোনা রুখতে কাজে ফিরলেন কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স
অনুরূপ পরিষেবা নিয়ে হাজির দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসিও। তবে এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা নূন্যতম ৫০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাসের আবেদন জানাতে পারবেন। সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন
করোনা থেকে বাঁচতে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন, কিন্তু সকলের জন্য এক্ষুনি নয়
বাড়িতে বসে নগদের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও। শুধু ফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে কাস্টোমার কেয়ারে। প্রাপ্য অর্থের মূল্য হতে হবে অবশ্যই ২০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে। আর এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে বরাদ্দ অর্থের ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন
বিনামূল্যে রেশন, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা – করোনা-রোধে সদর্থক ভূমিকা প্রশাসনের
লক-ডাউনের দিনগুলিতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আরও সহজ করার নির্দেশ কেন্দ্র সরকার আগেই দিয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছিল অনলাইন বিনিময়েও। তবে দেশের খুচরো ব্যবসায় অনলাইন বিনিময় এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। অতএব দরকার ছিল নগদ অর্থেরও। এবার এই নতুন পরিষেবা যে সেই দিকটা আরও সহজ করে তুলল, সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।