বিনামূল্যে রেশন, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা – করোনা-রোধে সদর্থক ভূমিকা প্রশাসনের

করোনা ভাইরাস। সারা পৃথিবী তোলপাড় এর আক্রমণে। চলছে তুমুল সতর্কতাও। দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র সচেতনতার প্রচার চতুঙ্গে। সম্প্রতি বাংলাতেও দু’জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই অবস্থায়, প্রশাসনিক বৈঠকের শেষে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। কী কী উঠে এল তাঁর বক্তব্যে, একবার দেখে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুন
অসহায় বৃদ্ধাদের জন্য একমাসের খাবার, সঙ্গে আশ্রয়ের নিরাপত্তা, উদ্যোগ কলকাতার নাগরিকদের

১) রাজ্যের যে সমস্ত মানুষ রেশনের চাল-গম নিতেন ২ টাকা কেজি দরে, তাঁরা এই সামগ্রী আগামী ৬ মাস সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাবেন।
২) যে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরন্তর সেবা করে যাচ্ছে, পরিশ্রম করছে; তাঁদেরকে পুজোর পর স্পেশাল লিভ দেওয়া হবে।
৩) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে রোটেশনাল কাজ শুরু হচ্ছে। ৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকলেই হবে সেখানে। এছাড়াও কাজের সময় আগেই এক ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
৪) বিদেশফেরত প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের করেন্টাইনে যেতে হবে। যদি কেউ না মানেন, তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫) বেসরকারি সংস্থাগুলোও যাতে রোটেশনাল নিয়মে কাজ করে, কর্মীদের দিকে খেয়াল রাখে, দেওয়া হয়েছে সেই পরামর্শও।
৬) বিদেশ থেকে আসা বিমানগুলোকে কলকাতায় যাতে নামতে না দেওয়া হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
৭) স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, যে হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে, সেখানে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে।
৮) সবকটা মেডিক্যাল কলেজে আলাদা আলাদা ফিভার ক্লিনিক তৈরি করা হবে।
৯) স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ড তৈরি করা হয়েছে।
১০) নর্থ বেঙ্গল, মেদিনীপুর, বর্ধমান-সহ বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে ল্যাব তৈরি করা হবে।
১১) বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে অতিরিক্ত আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হবে।
১২) রাজ্যে চিকিৎসায় যুক্ত সকলকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার বিমার আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন
কমে গেছে দূষণ, ঘুরে বেড়াচ্ছে হাঁস-ডলফিন; ‘স্বাভাবিক’ ইতালির ছবি

ইতিমধ্যেই করোনা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাঁদের মতে, রাজ্য প্রশাসনের এই সদর্থক উদ্যোগগুলি করোনা-আক্রমণকে প্রতিহত করবে অনেকটাই। বিশেষত, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে অনেকটাই আয়ত্তে আসতে পারে পরিস্থিতি। আশা-আশঙ্কায় এখন আগামী দিনগুলির দিকেই তাকিয়ে সবাই।

More From Author See More