প্রসবের আগে পর্যন্ত কাজের মধ্যেই, জমা দিয়েছেন করোনার টেস্টকিট

শুরু থেকেই ভারতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার হার ছিল অনেক কম। অনেকাংশে সম্ভাব্য আক্রান্তদের ৩-৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায়নি, এমনটাও খবর এসেছে। আর ঠিক এই কারণে বিশ্বের দরবারে সমালোচিতও হয়েছে ভারত। এই ছবির অমূল পরিবর্তন আনল পুনের মাইল্যাব রিসার্চ। সেইসঙ্গে, প্রশংসিত হচ্ছেন ডেভেলপমেন্টের ভাইরোলজিস্ট মিনাল দাখাবে ভোঁসলে-ও।

আরও পড়ুন
করোনার টেস্ট কিট তৈরি করল ভারত নিজেই, মাত্র ৬ সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সাফল্য

গত বৃহস্পতিবার ভারতে তৈরি করোনাভাইরাসের টেস্টকিট ‘প্যাথো ডিটেক্ট’ বাজারে এসেছিল। যা নিঃসন্দেহে আক্রান্তদের পরীক্ষার হার বাড়াবে, এমনটাই আশা করা যায়। ইতিমধ্যেই পুনের ওয়েস্টার্ন সিটির এই ল্যাবরেটরি থেকে প্রথম দেড়শোটি কিট পাঠানো হয়েছে পুনে, মুম্বাই, দিল্লি, গোয়া এবং ব্যাঙ্গালোরে। মাইল্যাবের ডিরেক্টর ডঃ গৌতম ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, কিট তৈরির কাজ বন্ধ হবে না উইকএন্ডের দিনেও। দ্বিতীয় পর্যায়ের টেস্টকিট সরবরাহ করা হবে সোমবারই। জানা যায় এক সপ্তাহে এক লক্ষ টেস্টকিট সরবরাহ করতে পারবে এই সংস্থা, চাহিদা বাড়লে জরুরি পরিস্থিতিতে দু’ লক্ষ অবধি।

আরও পড়ুন
অস্থায়ী হাসপাতালের পরিকল্পনা, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি ব্যবহারের প্রস্তাব সরকারকে

পুনেতে তৈরি হওয়া এই কোভিড-১৯ এর টেস্টকিট তৈরিতে খরচ হচ্ছে মাত্র ১২০০ টাকা। অর্থাৎ, বাইরে থেকে আমদানি করা টেস্টকিটের (গড়ে যার খরচ ৪৫০০ টাকা) এক চতুর্থাংশ মাত্র। তার সঙ্গে প্রতিটি টেস্টকিটই ১০০টি নমুনার পরীক্ষায় সক্ষম।

আরও পড়ুন
ইতালির মৃত্যুমিছিল রুখতে এগিয়ে এলেন কিউবার ডাক্তাররা, সার্বিয়াকে সাহায্য চিনের

এই কিট তৈরি ও রিসার্চের কাজের মধ্যমণি, মিনাল ভোঁসলে গত ১৮ই মার্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য জমা দেন তাঁদের তৈরি টেস্টকিট। আর পরদিনই মা হন, ফুটফুটে কন্যাসন্তানের। দেশের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে এভাবে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি প্রশংসিতও হচ্ছেন সর্বত্র। মিনালও মনে করেন, এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাঁর এই পদক্ষেপ যদি সামান্যতমও উপকার করতে পারে, সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে আনন্দের।

Latest News See More