৫০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার, দুর্গাপুজোর ‘শিল্পে’র কথা উঠে এল সমীক্ষায়

শরত আসতে এখনও বহু দেরি। কিন্তু বাঙালির প্রাণের উৎসবের কাউন্টডাউন হয়তো শুরু হয়ে গেছে এখনই। ষষ্ঠী থেকে দশমী— কেমনভাবে কাটবে দুর্গাপুজোর দিনগুলো, এই হিসেব শুরু হল বলে। তবে আজ আর নিছক পুজো নয়, দুর্গাপুজো আজ রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে। সেটাকেই মান্যতা দিল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা। খড়গপুর আইআইটি’র পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে এই পুজো থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার হয়েছে!

আরও পড়ুন
ঢাকের বদলে ড্রাম, জমাটি দুর্গাপুজো সিংহের দেশ আফ্রিকায়

লন্ডন ইউনিভার্সিটির করা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল খড়গপুর আইআইটি-ও। তাঁদের করা এই বিশেষ রিপোর্টই দেখিয়ে দিল দুর্গাপুজোর ‘আসুরিক’ বাজার। কলকাতা ছাড়াও আশেপাশের নয়টি জেলাকে এই সমীক্ষায় ধরা হয়েছে। আগে দুর্গাপুজোর এইরকম অবস্থা না থাকলেও, বিগত বেশ কয়েক বছরে এই পরিস্থিতি বদলেছে। এখন শুধু এই পুজোকে কেন্দ্র করে কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে শিল্পী, কারিগররা শহরে আসেন। থিম পুজোর রমরমা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই শারদীয়া শিল্প যে বিস্তার করেছে অনেক, রিপোর্টে সেটাই উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন
পাকিস্তান আর আরবে দুর্গাপুজো, উর্দুতে লেখা চণ্ডীমন্ত্র

দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটা একটা সামাজিক মঞ্চও বটে। যত সময় গেছে, এই ব্যাপারটা আরও বিস্তার লাভ করেছে। শুধু শিল্পী, থিম নয়; বাইরের আলো, স্টল, ব্যানার, বিজ্ঞাপন— সমস্ত কিছু মিলিয়ে একটা ভরা প্যাকেজ। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেরও অন্যতম প্রধান একটি অঙ্গ এটি। ইউনেস্কোও স্বীকৃতি দিয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসবকে। কাজেই দুর্গাপুজো শুধু কলকাতা বা বাংলায় আটকে নেই; গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার সেই ব্যাপকতারই সূচক। বহু মানুষের রোজগার এই একটা সময়। কাজেই সেটা যে আজ একটা বড় শিল্পে পরিণত হয়েছে, সেই কথায় শিলমোহর বসাল আইআইটি-লন্ডন ইউনিভার্সিটির এই রিপোর্ট।