৭১— সংখ্যাটা এই মুহূর্তে গোটা বঙ্গ ক্রিকেটের যাবতীয় ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠেছে। রাজকোটে রঞ্জি ফাইনাল জিততে আর এই কয়েকটা রানই দরকার বাংলার। তাহলেই ট্রফির দিকে এগিয়ে যাবে টিম। হাতে আছে আর একটা দিন। সেই দিকেই এখন তাকিয়ে আছে সবাই।
আরও পড়ুন
অনুষ্টুপ-ঈশানের গড়া ভিতে আগুন ঝরালেন মুকেশ, ১৩ বছর পর রঞ্জি ফাইনালে বাংলা
অভি বারোট, অর্পিত ভাসাবাদা, চেতেস্বর পূজারার ব্যাটে ভরসা করে প্রথম ইনিংসে ৪২৫ তোলে সৌরাষ্ট্র দল। সেমিফাইনালের নায়ক ঈশান-মুকেশ জুটি বেশি উইকেট না পেলেও ঝলসে ওঠেন আকাশদীপ। ৩৫ ওভার বল করে ৯৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানের মাথায় ফিরে যান বাংলার দুই ওপেনার। তারপরই রাশ ধরেন দু’জন। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহা। আসল সময় জেগে উঠল ঋদ্ধির ব্যাট। তার আগে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলা পিছিয়ে ছিল ২৯১ রানে। এমন অবস্থা থেকেই সুদীপ-ঋদ্ধি জুটি হাল ধরেন দলে। গুরুত্বপূর্ণ সময় তাঁদের ১০১ রানের পার্টনারশিপ বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যায় অনেকটা।
আরও পড়ুন
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চাই আমি, ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’-এর মতো
ফাইনাল বোধহয় হওয়া উচিত এমনই। কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছে না। সৌরাষ্ট্রের বোলাররাও সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন। কিন্তু ততক্ষণে ক্রিজে টিকে থাকার রসদ খুঁজে পেয়েছেন সুদীপ-ঋদ্ধি। কিন্তু বৃহস্পতিবার, লাঞ্চের পরেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তার খানিক পরে ঋদ্ধিও। বাংলা তখন ২৪১; পাঁচ উইকেট পড়ে গেছে।
আরও পড়ুন
বড়ো চাকরি ছেড়ে ক্রিকেট, ভালোবাসেন গিটার ও সুমনের গান, অনুষ্টুপের জীবন তাঁর ব্যাটিং-এর মতোই ধ্রুপদী
এই অবস্থায় আবারও ভরসা হয়ে উঠলেন সেই অনুষ্টুপ মজুমদার। এখনও তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা বাংলা। অর্ণব নন্দীকে নিয়ে সপ্তম উইকেটের পার্টনারশিপে যোগ করেছেন ৯১ রান। নিজেও হাফ সেঞ্চুরি পার করেছেন। সেই একই ধৈর্য, একই মুন্সিয়ানা। ক্রিজের চরিত্র বুঝে টিকে থেকে গেছেন। প্রতিটা বলের পেছনে নিয়েছেন সমান যত্ন। দিনের শেষে সেই অনুষ্টুপেই বিশ্বাস রেখেছেন সবাই। যেহেতু প্রথম ইনিংসেই ফয়সালা হতে চলেছে রঞ্জি ফাইনালের, তাই এই ৭১ রানের দিকে পাখির চোখ করে আছে বাংলার ক্রিকেট দল। হাতে আছে কালকের দিনটি। যে করেই হোক, এই ক’টা রান করতেই হবে তাঁদের। জিততে যে হবেই। এই পরিস্থিতি থেকে হার মানতে শেখেননি যে তাঁরা। আছেন অনুষ্টুপ। সকাল থেকেই লক্ষ্য একটাই- ৭১।