বিশ্ব জুড়ে নিজের দাপট ভালোভাবেই দেখিয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সেই ঝড় এসে পড়েছে খেলার দুনিয়াতেও। সম্প্রতি এই করোনার জন্য নানা টালবাহানার মধ্যে দিয়ে গেছে ২০২০-এর অলিম্পিক। অবশেষে সবার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই বছরের মতো স্থগিত রাখা হল টোকিও অলিম্পিক। পরের বছর অনুষ্ঠিত হবে এটি। জাপান সরকার ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ল।
আরও পড়ুন
করোনা-আতঙ্ক ইউরোপ জুড়ে, পিছিয়ে গেল ২০২০ সালের ইউরো কাপ
সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমী, খেলোয়াড়দের জন্য এই খবরটি অত্যন্ত দুঃখের। কিন্তু এছাড়া আর উপায়ও ছিল না বলে জানিয়েছেন অলিম্পিক কমিটির কর্তারা। তবে অলিম্পিক বাতিলের নজির এই প্রথমবারই নয়। ইতিহাসের দিকে একটু পেছন ফিরলেই দেখা যাবে কিছু ঘটনা। ১৯১৬ সালে বার্লিনে আয়োজন করার কথা ছিল অলিম্পিকের। কিন্তু সেই বছরই আরও একটি ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। হ্যাঁ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই ঝড় নাড়িয়ে দেয় অলিম্পিককেও। এই প্রচণ্ড যুদ্ধ, যেখানে দিকে দিকে মানুষ মারা যাচ্ছে; এই আবহে কী করে এমন খেলার আয়োজন করা যায়? সবার নিরাপত্তাও তো দেখা দরকার। সেই বছরও নানা সিদ্ধান্তের শেষে অলিম্পিক বাতিল করা হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪০ সালে এই টোকিওতেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ এবারও থামিয়ে দিল সবটা। একই ঘটনা ঘটে তার পরের বারও। ১৯৪৪ সালের অলিম্পিকও স্থগিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
মানুষ নেই পথে, জাপানের শহরে অবাধ বিচরণ হরিণের
এখন অবশ্য যুদ্ধের জন্য থামেনি। তবে, চারিদিকে যা চলছে, সেটাকে যুদ্ধের পরিস্থিতি ছাড়া আর কী বলা যায়? দিনের শেষে শুধু খেলোয়াড়রাই তো নন, এত বিপুল সমর্থক আসেন সারা পৃথিবী থেকে; তাঁদের সুরক্ষাও তো দেখতে হবে। ইতিমধ্যেই কানাডা আর অস্ট্রেলিয়া লিস্ট থেকে নাম তুলে নিয়েছিল। অন্যান্য দেশও না করার পক্ষে ছিল। অবশেষে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হল। সামনের বার, অলিম্পিকের আসরে উপস্থিত থাকব সবাই। এবছরের মতো, করোনার জন্য তাকেও ছুটি দেওয়া হল।