মাত্র ১৫ দিনেই তৈরি হবে ১০০০ বেডের হাসপাতাল, উদ্যোগ ওড়িশা সরকারের

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাবা বসিয়েছে পৃথিবীর সর্বত্র। বাদ পড়েনি আমাদের দেশ ভারতবর্ষও। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও। প্রায় সমস্ত হসপিটালেই রোগীদের জন্য বরাদ্দ বেডের থেকে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন ডাক্তার, নার্সরা। দুর্ভোগে রোগীরাও। এরকম পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য পূর্ণাঙ্গ বিশেষ হসপিটাল তৈরির পরিকল্পনা নিল ওড়িশা সরকার। ১০০০ বেডের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। আর তা, মাত্র ১৫ দিনেই।

আরও পড়ুন
লকডাউনে স্তব্ধ রাজ্য, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন যাঁরা

চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন সদ্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন রাতারাতি এমন হসপিটাল তৈরির কথা জানা গিয়েছিল। চিন সরকারের সেই প্রচেষ্টা সংক্রমণ রুখতে অনেকটাই সফল হয়েছিল। সেই পথেই হাঁটছে ওড়িশার সরকারও। হাসপাতাল তৈরির জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে দুই সপ্তাহ। এর মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, দেশের মধ্যে উড়িষ্যাতেই প্রথম করোনার জন্য বিশেষ এবং পূর্ণাঙ্গ হসপিটাল তৈরি হবে।

আরও পড়ুন
করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হলে শেষকৃত্য ধাপায়, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে এসেছে কর্পোরেট সংস্থাগুলিও। ইতিমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওড়িশা মাইনিং করপোরেশন এবং মহানদী কোলফিল্ড লিমিটেড। সরকারের মধ্যস্থতায় মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থাগুলির একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আরও পড়ুন
করোনা ‘ছড়ানো’র অভিযোগ, নিজের আবাসনেই হেনস্থার মুখে পিয়ারলেসের চিকিৎসক

দেশজুড়ে করোনার আতঙ্কে সমস্যায় পড়েছেন সবাই। অর্থনীতির অবস্থাও বেহাল। তারমধ্যে লক-ডাউনের পরিস্থিতিতে রীতিমতো ধুঁকছে প্রতিটি সেক্টর। উৎপাদন নেই, নেই বিক্রিবাটাও। এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করে তুলতে মরিয়া প্রত্যেকেই। সরকার থেকে বেসরকারি সংস্থা, প্রত্যেকেই এগিয়ে আসছে। এখন পরিস্থিতি আবার কবে স্বাভাবিক হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন দেশবাসী।

Latest News See More