আবারও গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বন্যপ্রাণ। সম্প্রতি আসামে চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় মারা গেল একটি ১২ বছরের পুরুষ লেপার্ড। আসামের বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সম্ভবত রাতের বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। রাস্তা পেরোনোর সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লেপার্ডটি। তার ফলেই মৃত্যু।
আরও পড়ুন
২০১৯-এ বিপুল পরিমাণে বাঘ এবং চিতাবাঘ মারা গেছে ভারতে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
কামাখ্যা মন্দিরের কাছে, গুয়াহাটির আসাম ট্রাঙ্ক রোডের ওপর এই ঘটনাটি ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘর্ষের ফলে সরাসরি মাথায় আঘাত লাগে ৭০ সেমি উচ্চতার লেপার্ডটির। ফলে ব্রেন হেমারেজ, এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। ঘাতক গাড়িটিকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে যে জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটেছে, তার আশেপাশের জঙ্গল লেপার্ডের বসবাসের জায়গা। এক্ষেত্রে এই অঞ্চলে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। এখানে গাড়িটি যে বেশ জোরেই চলছিল, অটোপ্সি রিপোর্টে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সংখ্যা কমছে দ্রুত, সুদূর আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা হবে চিতা
প্রশ্ন উঠছে ভারতের বন্যপ্রাণ নিয়েও। গত বছরই গোটা ভারতে ৪৯১টি লেপার্ড মারা গেছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর পাশাপাশি অস্বাভাবিক ঘটনাও ছিল ভালো পরিমাণে। কখনও গাড়ি দুর্ঘটনা, কখনও চোরাশিকার। পশুহত্যা থামেনি একবারও। এমনকি এই বছরও এখনও অবধি বেশ কিছু লেপার্ড গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। আসামে এটি প্রথম ঘটনা। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রে তিন বছরের একটি লেপার্ডেরও প্রাণ গেছে। কারণ, সেই গাড়ি। গোটা দেশে যেখানে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে এত আলোচনা চলছে, উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে; সেখানে এমন ঘটনা কি বাধা সৃষ্টি করছে না? ওইসব এলাকায় যাতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়, প্রশাসন ও বন দফতরেরও দায়িত্ব সেটা সুনিশ্চিত করা। নয়তো এই ঘটনা থামবে না।