কমছে দূষণ, বাড়ছে পাখি-প্রজাপতির সংখ্যা; স্তব্ধ কলকাতায় অন্যরকম প্রাণসঞ্চার

শুধু কার্ফুর দিনেই নয়, কলকাতার অনেক জায়গাই রীতিমতো শুনশান কয়েকদিন ধরে। রাস্তায় লোকও কমে আসছে। সৌজন্যে কোভিড১৯। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে অনেকেই নিজেদের ঘরে বন্দী করে রাখছেন। এমন বিপদের দিনে ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে একজন; পরিবেশ। কলকাতাতেও পড়েছে সেই প্রভাব। দূষণের মাত্রা যেমন কমছে, তেমনই নতুন করে যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে জীবজগত।

আরও পড়ুন
আগামীকাল বিকেল থেকে লকডাউন কলকাতা, সঙ্গে অন্যান্য পৌরসভাগুলিও

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, যবে থেকে রাস্তায় গাড়ি চলাচল ও মানুষের আনাগোনা কমেছে, তবে থেকেই পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত নভেম্বরেই কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দিল্লিকেও টেক্কা দিয়েছিল এই শহর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রায় ৪০০-এর ঘরে চলে গিয়েছিল বেশ কিছু জায়গায়। সেখানে এখন এই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৭০ থেকে ১০০-এর মধ্যে! যেটা এক কথায় অভূতপূর্ব বলেই দাবি করছেন পরিবেশবিদরা। এমনকি, আকাশও পরিষ্কার!

আরও পড়ুন
মানুষ নেই পথে, জাপানের শহরে অবাধ বিচরণ হরিণের

পরিবেশের এই উন্নতির জন্য ছন্দ ফিরে পেয়েছে প্রাণীজগত। ইতিমধ্যেই শহরে হাজির হয়েছে বেশ কিছু পাখি, যাদের এমনি সময় দেখা যায় না। রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে বিগত দশ দিনের মধ্যে অনেক নতুন পাখি দেখা গেছে। যেহেতু গাড়ি-ঘোড়া নেই, আর সেইজন্য শব্দদূষণও নেই; তাই পাখির আওয়াজেই চারিদিক ভরে যাচ্ছে। নদীগুলোতেও মাছের সংখ্যা সামান্য হলেও বেড়েছে। এবং সবচেয়ে বড়ো কথা, নানা প্রজাতির প্রজাপতিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাগানে। শহরবাসী অনেকদিন পর এমন সত্যিকারের পরিবেশ ফিরে পেল।

আরও পড়ুন
কমে গেছে দূষণ, ঘুরে বেড়াচ্ছে হাঁস-ডলফিন; ‘স্বাভাবিক’ ইতালির ছবি

যতদিন এমন অবস্থা চলছে, এই পরিবেশও ততদিন থাকবে। করোনা ভাইরাস যত তাড়াতাড়ি মুছে যায়, ততই মঙ্গল। কিন্তু একইসঙ্গে এই ঘটনা পরিবেশের এমন রূপও দেখাল আমাদের সামনে। আমরা, মানুষরা যদি একটু চারিপাশের খেয়াল রাখি; তাহলে পরিবেশ এরকমভাবেই সুন্দর থাকবে। স্বাস্থ্যবান থাকবে। আবার যদি হারিয়ে যায় সবকিছু, সেটা কখনই ভালো হবে না।

সূত্র— টাইমস অফ ইন্ডিয়া