এই বছর মার্কিন মুলুকের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। সেখানেই যে হতে চলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু এ কী দেখছে সবাই! আমেরিকার ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচার হচ্ছে বাংলা ভাষায়! শুধু বাংলাই নয়, ইংরেজি, স্প্যানিশ, জাপানি, চাইনিজ, উর্দু ইত্যাদি অন্যান্য ভাষাও জায়গা পেয়েছে এখানে। শুধু আমেরিকা কেন, বিশ্বের অন্যান্য জায়গার নির্বাচনে এই অভিনব উদ্যোগ কবে দেখা গেছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।
আরও পড়ুন
আত্মহত্যা বাড়ছে আমেরিকায়, অপরাধ-প্রবণতাও, দায়ী পরিবেশ দূষণ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে গোটা বিশ্বে চলছে নানা আলাপ আলোচনা। ফলাফল কী হতে পারে; ট্রাম্প কি আবারও ফিরবেন ক্ষমতায়, নাকি বার্নি স্যান্ডার্সের মতো নতুন কেউ আসবেন— এই নিয়ে তরজা তুঙ্গে। মার্কিন মুলুকেও জোর কদমে চলছে প্রচার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোটের প্রাক্কালে ঘুরে গেলেন ভারত। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ। সেখানেই অভিনব প্রয়াস নিয়ে উঠে এল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বার্নি’র প্রচারকাজ। শুধু ইংরেজি নয়, অনেক ভাষাকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া-সহ নানা জায়গায় পৌঁছে গেছে বার্তা- ‘বার্নি ক্যালিফোর্নিয়া জিতেছে’। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় এলে তিনি ঠিক কী কী করবেন, তার বেশ কিছু প্রস্তাবনাও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। সেটাও শুধু ইংরেজিতে নয়, জায়গা পেয়েছে বাংলাও। বার্নি’র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও বাংলায় বার্তা দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক তলানিতে, আবার উপসাগরীয় যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে মধ্য প্রাচ্য?
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা বার্নি স্যান্ডার্স ‘৬০-’৭০-এর দশকে যুদ্ধবিরোধী ও নাগরিক অধিকারের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বছর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে অন্যতম পছন্দের তালিকায়ও আছেন তিনি। আমেরিকায় বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষরা থাকেন। সেখানে আছেন ভারতীয়রা, বাঙালিরা। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে উঠে আসতেই কি ভাষা নিয়ে এই অভিনব উদ্যোগ? সেরকমটাই মনে করছেন অনেকে।
ফলাফল অবশ্য গিয়েছে তাঁর পক্ষেই। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি নির্বাচনে জয়লাভও করেছেন তিনি। প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট নিয়ে সেখানে এগিয়ে তিনি। এই বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ফল অনেকটাই আশা দিচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের। আশা দিচ্ছে স্যান্ডার্সকেও। আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্পকে হারানোর ব্যাপারেও।