করোনার আক্রমণে ছন্নছাড়া ইতালি। একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে। সবাই ঘরবন্দি; তাও আটকাচ্ছে না কিছু। পৃথিবীর সব জায়গায় এই খবর পৌঁছে গেছে। পৌঁছেছে কিউবাতেও। করোনা নিয়ে সেখানেও আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। যদি এই অবস্থায় একটু সাহায্য করা যায় ওই দেশটাকে? এই ভাবনা থেকেই সম্প্রতি কিউবা থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সের একটি বিশেষ টিম পাড়ি দিল ইতালিতে। লক্ষ্য, ওই মানুষগুলোর চিকিৎসা…
আরও পড়ুন
অসহায় বৃদ্ধাদের জন্য একমাসের খাবার, সঙ্গে আশ্রয়ের নিরাপত্তা, উদ্যোগ কলকাতার নাগরিকদের
ইতিমধ্যেই ৫২ জনের এই চিকিৎসকের দলটি ইতালিতে চলে গেছে। সেখানকার ডাক্তারদের সঙ্গে এক হয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কাজ করবেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা চলে এলে, নিজের দেশে সমস্যা হবে না কোনো? সেই দিক থেকে আশ্বস্ত করেছেন কিউবার প্রশাসন। এই মুহূর্তে জনপ্রতি ডাক্তারের হিসেবে এই দেশটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছে। কাজেই নিজের দেশকে সামলেই অন্যান্য জায়গায় বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ করছেন তাঁরা। মানুষ তো আগে, সে যেখানকারই হোক না কেন!
আরও পড়ুন
বিনামূল্যে রেশন, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা – করোনা-রোধে সদর্থক ভূমিকা প্রশাসনের
তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও মহামারীর সময় কিউবা বহুবার অন্য দেশে তাঁদের মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে। করোনার জন্যই ইতালির আগেও আরও পাঁচটি দেশে (ভেনেজুয়ালা, নিকারাগুয়া, জামাইকা, সুরিনাম, গ্রেনাডা) ডাক্তাররা গেছে এখান থেকে। এবারই নয়, ১৯৫৯ সাল থেকে এই কাজটি করে আসছে তাঁরা। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইবোলা সংক্রমণের সময়ও কিউবা এগিয়ে এসেছিল। তবে এতদিন গরিব ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতেই এই কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল তাঁরা। এখন ইতালির মতো বিশ্বের প্রথম সারির দেশেও হাজির হল কিউবান ডাক্তাররা। পুরোটাই প্রয়োজনে। আর হবেন নাই বা কেন! ইতালির অবস্থা যে সবথেকে ভয়ানক। মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায়, সমস্ত কাঁটাতার মুছে ফেলে, একে অন্যের সাহায্যেই তো এগিয়ে আসার কথা। কিউবার পদক্ষেপে ‘বিশ্ব-সৌভ্রাতৃত্ববোধ’ শব্দটাই আরও উজ্জ্বল হয়ে গেল।
আরও পড়ুন
শুধু সাধারণ নাগরিকই নন, নিয়ম ভাঙছেন বিদেশ-ফেরত ডাক্তাররাও, সচেতনতার ঘাটতি সর্বত্র
অন্যদিকে, ইউরোপের আরেকটি দেশ সার্বিয়াতেও করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। ক্রমশ ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। আর এই পরিস্থিতিতেই, সার্বিয়াকে সাহায্য করতে সে-দেশে উড়ে গেলেন চিনের ছ'জন ডাক্তার। সঙ্গে নিয়ে গেলেন পর্যাপ্ত মাস্ক ও ভেন্টিলেটর। বিশ্বব্যাপী এই ত্রাস রুখতে এভাবেই একে অপরের দিকে সৌহার্দ্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে দেশগুলি। ভাবীকালের কাছে তা এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থেকে যাবে...