বাঙালির বিশ্বজয় তো বটেই, এশিয়া জয়ও করেছে অনেক সময়। বিশেষ করে সেটা যদি চলচ্চিত্র হয়, তাহলে তো বেশ কিছু উদাহরণ চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সেই তালিকাতেই আরও একটি নাম যোগ হল। সম্প্রতি খাবার নিয়ে করা এশিয়ার সর্বকালের সেরা ২৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা করে নিল বাংলার সিনেমা ‘আহা রে’। আর তা নিয়েই আপ্লুত টলিউড মহল।
আরও পড়ুন
“আমি চাই, আমার সিনেমা দর্শককে বিব্রত করুক, অস্বস্তিতে ফেলুক”— ইন্দ্রাশিস আচার্যর সঙ্গে একটি আড্ডা
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই মুক্তি পেয়েছিল ‘আহা রে’। পরিচালক রঞ্জন ঘোষের তৃতীয় ছবি ছিল এটি। সিনেমাটির মূল বিষয় খাবার, সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ভালোবাসা আর দুই বাংলার আত্মিক সম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অভিনেতারা একসঙ্গে কাজ করেছেন এই ছবিতে। ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আরিফিন শুভ, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে’র মতো অভিনেতারা। এডিটিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন রবিরঞ্জন মৈত্র। সেই সিনেমাই এশিয়ার সর্বকালের সেরা ২৫টি খাবার সংক্রান্ত সিনেমার মধ্যে জায়গা করে নিল। এর আগেও সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করেছিল এই ছবি। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও জায়গা করে নিয়েছিল। এবার এমন সম্মান দিনটাকে আরও উজ্জ্বল করল।
আরও পড়ুন
বাড়িতে বসেই বড়ো পর্দায় সিনেমা দেখছেন অসংখ্য মানুষ, চমক আয়ারল্যান্ডে
এই প্রসঙ্গে ‘আহা রে’র পরিচালক রঞ্জন ঘোষ প্রহরকে জানান, “আমাদের কাছে এটা বিশাল অ্যাচিভমেন্ট। ‘ট্যাম্পোপো’, ‘ইট ড্রিংক ম্যান ওম্যান’-এর মতো সিনেমা, যেগুলো দেখে, যেগুলো নিয়ে পড়াশোনা করে আমরা এগিয়েছি; সেই সিনেমার সঙ্গে যখন আমাদের ছবিও একই লিস্টে জায়গা করে নিচ্ছে, সেটা তো সত্যিই অনেক পাওয়া। কোনোদিন ভাবিওনি এমনটা হবে। সত্যি কথা বলতে যখন এই ছবি তৈরি হচ্ছিল তখন তো এইসব মাথায়ও ছিল না। শুধু নিজের কিছু বক্তব্যকে এক্সপ্লোর করতে চাওয়া। সেটা যখন আন্তর্জাতিক স্তরে এরকম স্বীকৃতি পায়, তখন তো তাকে আশ্চর্য সমাপতনই বলা যায়। আর ‘আহা রে’-র সঙ্গে খাবার যেমন জড়িয়ে আছে, তেমনই আছে সম্পর্ক, ভালোবাসা। এটা দুই বাংলার ছবি। আপাতত ‘আহা রে’-র পুরো ইউনিট প্রচণ্ড খুশি। আমরা সত্যিই আপ্লুত।”
আরও পড়ুন
চেয়েছিলেন অভিনেত্রী হতে, হলেন যৌনপল্লির ‘ঘরওয়ালি’ – এমনই জীবন গাঙ্গুবাই-এর
‘আহা রে’ ছাড়াও আরও দুটি ভারতীয় ছবি এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। একটি হল ইরফান খান অভিনীত রীতেশ বাত্রা’র বিখ্যাত হিন্দি ছবি ‘দ্য লাঞ্চবক্স’; আর অন্যটি আশিক আবু’র মালায়ালম ছবি ‘সল্ট অ্যান্ড পেপার’। এই দুঃসময়ের মধ্যেও এমন খবর বাংলা তো বটেই, ভারতীয় সিনেমার জগতেও মুক্তির বাতাস আনল।