নিজের হাতেই এঁকেছিলেন অ্যাসটেরিক্সকে, চলে গেলেন কমিকসটির স্রষ্টা অ্যালবার্ট ইউদেরজো

ছোটোবেলা, বিদেশি কমিকস আর নস্টালজিয়া— এই তিনটে জিনিস একসঙ্গে থাকলে কে কে মাথায় আসবে? টিনটিন তো বটেই; আর? অ্যাসটেরিক্স’কে ভুলে গেলে চলবে! আর অ্যাসটেরিক্স বলতেই মাথায় আসবে আরও একজনের নাম। অ্যালবার্ট ইউদেরজো— যার হাত ধরে জন্ম নিয়েছিল এই কমিকস। এই কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট মারা গেলেন ৯২ বছর বয়সে। থেমে গেল একটা অধ্যায়।

আরও পড়ুন
স্পাইডারম্যান হোক বা হাল্ক – শৈশবের ‘সুপারহিরো’দের জন্ম দিয়েছিলেন যিনি

১৯৫৯ সাল। ফ্রাঙ্কো-বেলজিয়ান ম্যাগাজিন ‘পিলট’-এ প্রথমবার প্রকাশিত হল একটি কমিকস। প্রধান পটভূমি একটি গল গ্রাম। সেখানেই থাকে অ্যাসটেরিক্স আর তার বন্ধু ওবেলিক্স। গোটা গল্পটাই ছিল বাঁচার; রোমান আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার। সেই নিয়েই একের পর এক অদ্ভুত অভিযানে বের হত তারা। রঙিন হয়ে সেই সবই উঠে এসেছিল পাতায়। তুলে এনেছিলেন ইউদেরজো। সঙ্গে ছিলেন রেনে গোসিনি। দুজনে মিলে তৈরি করেছিলেন নতুন একটি যুগের। অ্যাসটেরিক্স যুগ! টিনটিনের প্রবল জনপ্রিয়তার পাশে যেন অন্যতম বড়ো জায়গা করে নিল এটি। আর সেটাও সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায়। গোটা বিশ্বের অনেকগুলি প্রজন্মকে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছিল এই কার্টুন। আর তাদের হাত ধরে ছিলেন ইউদেরজো ও গোসিনি।

আরও পড়ুন
৮০ বছর অতিক্রান্ত, নির্বাক হয়েও আজও ‘নতুন’ টম অ্যান্ড জেরি

১৯৭৭ সালে গোসিনি’র মৃত্যুর পর একাই এই নৌকার হাল ধরেছিলেন অ্যালবার্ট ইউদেরজো। এবার তিনিও বিদায় নিলেন।

সূত্রের খবর, নেউইলিতে নিজের বাড়িতেই ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি। ডাক্তারদের মতে, হার্ট অ্যাটাক। যার সৃষ্টি এখনও সবার বাড়ির তাকে শোভা বাড়ায়; প্রতিবাদ, দুঃখের অংশ হয়। ইউদেরজো’র মৃত্যুতে স্বাভাবিকই শোকের ছায়া গোটা বিশ্বে।

আরও পড়ুন
২৫ ছুঁতে-চলা পোকেমন, অ্যাশ-পিকাচুর খুনসুটি এবং ছেলেবেলার পাগলামির দিনগুলো

অ্যাসটেরিক্স-ওবেলিক্স, আর তাদের গল গ্রামও কি শ্রদ্ধা জানাবে না?