সময়ের ক্ষুদ্রতম একক জেপ্টোসেকেন্ড, হদিশ দিলেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা

দশমিকের পর ২০টি শূন্য। তারপর একটি ১। এর সঙ্গে গুণ করা হল সময়ের একক সেকেন্ড। যে এক সেকেন্ড সময় চলে যায় চোখের পলকে, তাকেই প্রথমে ১ বিলিয়ন ভাগ এবং পরে আরও ১ ট্রিলিয়ন ভাগে ভাগ করলেন বিজ্ঞানীরা। আর এই বিভাজন শুধু তাত্ত্বিক নয়, বাস্তব পরীক্ষাতেও ব্যবহার করা হল সময়ের এই ক্ষুদ্রতম একক, জেপ্টোসেকেন্ড। আর এই ঐতিহাসিক পরীক্ষাটি ঘটালেন জার্মানির ফুর্ট শহরের গ্যেটে ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

তাত্ত্বিকভাবে অবশ্য সময়ের আরও ক্ষুদ্র একক ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা, ইয়েকটোসেকেন্ড এককটিতে ২০টির জায়গায় থাকে ২৪টি শূন্য। কিন্তু বাস্তব পরীক্ষায় কখনও সেই একক ব্যবহার করা হয়নি। জেপ্টোসেকেন্ডের ব্যবহারও এই প্রথম। গ্যেটে ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন, আমাদের বায়ুমণ্ডলে দুটি হাইড্রোজেন অণুর মধ্যে দূরত্ব কত থাকে। আর তার জন্য এক্স-রে এবং অত্যন্ত শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেছেন তাঁরা।

পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন একটি ফোটন কণার একটি হাইড্রোজেন অণু থেকে পরবর্তী হাইড্রোজেন অণুতে পৌঁছতে কত সময় লাগে। আর দেখা গিয়েছে এই সময়টা ২৪৭ জেপ্টোসেকেন্ডের আশেপাশে। আরও নিখুঁত উত্তর পেতে হয়তো ইয়েকটোসেকেন্ড বা তার থেকেও ক্ষুদ্র কোনো এককের সাহায্য নিতে হত। তবে এখনও ততটা উন্নত প্রযুক্তি নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।

আণুবীক্ষণিক জগতে যে সমস্ত ঘটনা অনেক দ্রুত ঘটে যায়, একথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু সেইসব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের জন্য তাকে সময়ের হিসাবে ধরতে হবে। সেকেন্ডের হিসাব তার তুলনায় সত্যিই অনেক দীর্ঘ। বাস্তব পরীক্ষায় জেপ্টোসেকেন্ডের ব্যবহার যে অণু-পদার্থবিদ্যার জগতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা, সেকথা বলাই বাহুল্য।

Powered by Froala Editor