এক বছর আগেই শোনা গিয়েছিল সম্ভাবনার কথা। ২০২২ সালের মহিলাদের এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতেই। সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখেই খেলার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসেই। আগামী বছর ২০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি দেশের নানা স্টেডিয়াম মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হবে মহিলাদের এশিয়ান কাপ। তবে এই বিস্তৃত ক্রীড়াসূচি প্রকাশ পেতেই ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশ। বিশেষত বাঙালিরা। দেশের নানা স্টেডিয়ামের তালিকায় কোথাও কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের নামই নেই। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেন বঞ্চিত বাংলা, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
২০২২ সালের মহিলা এশিয়ান কাপ সত্যিই এক ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। এবছর ১২টি দেশ খেলায় অংশ নেবে। এর আগে এতগুলি দল কখনও অংশ নেয়নি। শুধুই যে এশিয়ার দলগুলির মধ্যে সেরার শিরোপা তুলে দেওয়া হবে, তা নয়। এই প্রতিযোগিতা থেকেই বেছে নেওয়া হবে আগামী মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিযোগী দলগুলিকেও। সব মিলিয়ে ক্রীড়াবাণিজ্যের দিক থেকে এই প্রতিযোগিতা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সম্প্রতি যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে বাংলার কোনো ফুটবল স্টেডিয়ামই নেই সেখানে।
তালিকায় নাম আছে আমেদাবাদের ট্রান্স-স্টেডিয়ামের। মাত্র ৫ বছর আগে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে এই স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দপ্তর। তবে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে গুজরাটের ভূমিকা কতটুকু, এমন প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। অন্যদিকে ফুটবলের কথা বললে বাঙালির ভূমিকাকে অস্বীকার করার কোনো জায়গাই থাকে না। গোড়া ফুটবলারদের হারিয়ে মোহনবাগানের শিল্ড জয় দিয়ে যে ইতিহাস লেখা শুরু। তারপর গোষ্ঠপাল থেকে শুরু করে পিকে ব্যানার্জি, শৈলেন মান্নাদের এক বর্ণময় কাহিনি। আর এই ইতিহাসকে ধরে রেখেছে ১৯৮৪ সালে তৈরি হওয়া সল্টলেক স্টেডিয়াম বা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। লকডাউনের পর থেকে তো বটেই, তার আগেও বেশ কিছুদিন যে স্টেডিয়ামে কোনো বড়ো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। যুবভারতী পরিচর্যার খরচ নিয়েও রীতিমতো চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। সেখানে মহিলা এশিয়ান কাপের একটি ম্যাচও যদি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হত, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন হয়তো খানিকটা সুসময়ের মুখ দেখতে পেত। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ক্রীড়া বিভাগকে আবারও সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছেন অনেকে।
Powered by Froala Editor