প্রয়োজনে প্রাণীকে ব্যবহার করে চিরকাল সুবিধা নিয়েছে মানবজাতি। প্রাণীরা মূক, তাই তাদের কষ্ট হলেও বোঝাতে পারে না কাউকে। কিন্তু তাদের এই দুর্বলতাকে ব্যবহার করে মানুষ ফেঁদেছে ব্যবসা। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় একটি অল্পবয়সি হাতির মৃত্যু হয়েছে এমনই এক কারণে।
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। তাই প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে মানুষ পাড়ি দেয় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। শ্রীলঙ্কার সিগিরিয়া তেমনই এক সুন্দর শহর। আর তা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকদের দল। কিন্তু গোটা শহর ঘোরানোর দায়িত্ব থাকে হাতিদের ওপর। তেমনই একটি আঠেরো বছর বয়সি হাতি কিছু ট্যুরিস্টকে পিঠে চাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গোটা শহর।
আগের দিন প্যারেডে হাঁটার পর, একের পর এক যাত্রায় ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল সে। কিন্তু কষ্টকে প্রকাশ করতে পারেনি মুখে, অবলা জীব যে! তিনবার আলাদা আলাদা ভাবে পর্যটকদের ঘোরানোর পর হাতিটি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়।
এ খবরের পর, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্টিভিস্টরা পশুদের স্বার্থে আইন বদলাবার আবেদন জানায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জি জানায় তারা। কিন্তু এভাবে আর কত পশুর মৃত্যু সইতে হবে! মানুষের সুবিধার্থে, জঙ্গল থেকে হাতিদের নিয়ে এসে তাদের একরকম দুর্বিষহ জীবন কাটাতে বাধ্য করে মানুষ। কিন্তু এ ঘটনার পরেও মানুষ সচেতন হবে কিনা, উঠছে সেই প্রশ্ন।