করোনার জেরে দূষণ কমে যাচ্ছে অনেক জায়গায়। পরিবেশও পরিশুদ্ধ হচ্ছে; যার ফলে অনেক দূরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে মজা করে পোস্ট করেছেন যে, দূষণ এত কমে যাচ্ছে যে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরদেরও দেখা যাচ্ছে। এসব নিছকই মজা; কিন্তু হঠাৎ যদি এটাই সত্যি হয়ে যায়! না, ডাইনোসর আসেনি। কিন্তু ওই সময়েরই একটি জীব ফিরে এসেছে। জীবটি আর কিছুই নয়, একটি মেহগনি গাছ!
সম্প্রতি কানাডার ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপের সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মেহগনি গাছের কিছু অংশ। প্রায় ফসিল অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়েছে এটিকে। পরবর্তীতে যা পরীক্ষা করে তাজ্জব হয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত যা জানা যাচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ৮ কোটি বছর আগে এই মেহগনি গাছটির অস্তিত্ব ছিল! ভালোভাবে বলতে গেলে, ক্রেটাসিয়াস পিরিয়ডের শেষের দিক তখন। এবং আরও বড়ো তথ্য হল, তখনও পৃথিবী শাসন করছে ডাইনোসররা। সেই সময়ের গাছের টুকরো পাওয়া মানে রীতিমতো গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া! ভ্যাঙ্কুবারের এই ঘটনাকে আপাতত এভাবেই বর্ণনা করছেন ঐতিহাসিক ও বিজ্ঞানীরা।
সেই সঙ্গে এই মেহগনি ফসিলটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন হার্ডউডের স্যাম্পল হিসেবে ঘোষিত হল। এত পুরনো এর আগে পাওয়া যায়নি। এর আগে যে মেহগনির ফসিল পাওয়া গিয়েছিল, সেটির বয়স ছিল আনুমানিক ৬ কোটি বছর। তখন ডাইনোসররাও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল পৃথিবী থেকে। এবার সব দিক থেকেই ষোল কলা পূর্ণ হল। আপাতত এই ফসিল নিয়ে আরও গবেষণায় মগ্ন বিজ্ঞানীরা।