শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সার্জেন্ট মার্ভিন কর্নেট। আজও চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিনগুলি। দেখতে দেখতে আট দশক পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এতদিন পর যেন সার্জেন্টের স্মৃতি উস্কে দিতেই তাঁকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কিছুদিন আগেই তাঁর ক্যালিফোর্নিয়ার বাসভবনে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন পরিবারের সকলে।
৭৭ বছর আগে ইতালির মুসোলিনি ক্যানালের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন অসংখ্য মার্কিন সেনা। সার্জেন্ট কর্নেটও ছিলেন সেই যুদ্ধের ময়দানে। তবে তিনি নিজে যথেষ্ট আহত হলেও প্রাণ হারাননি। বরং তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্যই অনেক সহযোদ্ধা বেঁচে গিয়েছিলেন। আজ এত বছর পর সেই ভূমিকার জন্য সম্মানিত হচ্ছেন সার্জেন্ট কর্নেট। তাঁকে পার্পল হার্ট এবং ব্রোঞ্জ স্টার পদক দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।
কর্নেট নিজে অবশ্য মনে করেন না তাঁর বিশেষ কোনো কৃতিত্ব আছে। বরং তাঁর কাছে আজও সেই মানুষরাই নায়কের আসন নিয়ে আছেন, যাঁরা হাসতে হাসতে প্রাণ দিয়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। আজকে জীবন সায়াহ্নে এসে যে পুরস্কার পাচ্ছেন, তার থেকে অনেক বেশি মূল্যবান যুদ্ধের সময়ের স্মৃতি। তবে কর্নেটের কন্যা জ্যান মেনডোজা নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তবে তাঁর কথায়, প্রতিদিন এমন অনেক মানুষ এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, যাঁদের সঠিক মূল্যায়ন করে না কেউই। তাঁরা ইতিহাসের এক একটি ছোট্ট অধ্যায় রচনা করে দিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু সেইসব কথা মনে রাখেন না কেউই। কর্নেট তাঁদের মধ্যে ব্যতিক্রম। কারণ জীবনের শেষে এসে হলেও তিনি স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
জীবন্ত ইতিহাস স্মৃতিতে নিয়ে হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই বিদায় নেবেন কর্নেটের মতো মানুষরা। শুধু তাঁদের গল্পগুলো থেকে যাবে।
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও বেশি কোভিডে মৃতের সংখ্যা! ভয়াল পরিস্থিতি আমেরিকায়
Powered by Froala Editor