ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, নো-ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে আছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা

ভারত আর বাংলাদেশের বর্ডার। মাঝে সীমান্ত রেখা। প্রবেশ নিষেধ এই নো ম্যানস ল্যান্ডে। খাগড়াছাড়ির কাছে রামগড়ের কাছে নো ম্যানস ল্যান্ডেই আটকা পড়লেন বছর চল্লিশের এক মহিলা। কেটে গেছে পাঁচ দিন। কিন্তু ভারত বা বাংলাদেশ কোনো দেশেই প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন না ওই ভদ্রমহিলা।

ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী একটা ছোট শহর সাবরুম থেকে এসেছিলেন বৃহস্পতিবার। এমনটাই জানান বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার তারিকুল হাকিম। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিএসএফ এবং বিজিবি-র ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি কোনো। মহিলার কাছে কোনো নথিপত্র না থাকায় বিএসএফ-ও ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রবেশাধিকার দিতে পারেনি।

বাংলাদেশের ওই লেফটেনেন্ট জানান, ইতিমধ্যেই এলাকায় তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলে এর মধ্যে অবশ্যই তাঁর পরিবার যোগাযোগ করবে, এমনটাই আশা করছেন ওই আধিকারিক।

রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার জানান, আটকে পড়া মহিলা স্পষ্ট হিন্দিতেই কথা বলছিলেন। রামগড়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দজা বলেন, এটি সীমান্ত বিষয়ক ঘটনা হওয়ায় সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা । তবে বিএসএফ এবং বিজিবি-র আধিকারিকরা খুব শীঘ্রই বিহিত করবে এর, এমনটাই আশা করছেন তিনি। জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা অভুক্ত ছিলেন। শুক্রবার সীমান্ত এলাকার কিছু অধিবাসী খাবার দিয়ে আসেন ওই মহিলাকে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দুই দেশেই চলছে লকডাউন। তাই কোনো দেশই ঝুঁকি নিতে চাইছে না এই সময়ে। সীমান্তবর্তী সমস্যা হলেও, মানবিকতা বোধ থেকে ওই মহিলাকে সেনা শিবিরেই মাথা গোঁজার সামান্য জায়গা করে দেওয়া যেত না? উঠছে এই প্রশ্নও। সুরাহা মিলবে কবে? উত্তর নেই।