নদীর ধারে হেঁটে চলেছে একটি মানুষ। নরম মাটির মধ্যে কী যেন একটা খুঁজছে। আর খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ উঠে এল একটি ধড়হীন নেকড়ের মাথা। দৃশ্যটা হঠাৎ কোনো ভৌতিক সিনেমার দৃশ্য বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। কারণ একটি নেকড়ের মাথা উঠে এসেছে সঙ্গে করে ইতিহাস নিয়ে। ৪০ হাজার বছরের ইতিহাস। তুষারযুগের ইতিহাস। আর সেই ইতিহাস যেন একেবারেই জীবন্ত। গবেষকদের চোখের সামনে হাজির করতে পারে ৪০ হাজার বছর আগের মাংস, হাড়, চামড়া। এমনকি মস্তিষ্কের সবটুকুই যেন মাত্র কিছুদিন আগেই সাড় হারিয়েছে।
পৃথিবীর অন্যতম বিষ্ময়কর কিছু আবিষ্কারের মধ্যে একটি হল এই নেকড়ের মাথা। ২০১৮ সালে রাশিয়ার ইউকাটিয়া প্রজাতন্ত্রের তিরেখত্যাখ নদীর ধারে এই মাথাটি খুঁজে পেয়েছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। এর আগে আশপাশ অঞ্চল থেকে বেশ কিছু সিংহ এবং বাঘের মাথা খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কিন্তু সেসব রীতিমতো ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায়। ৪০ হাজার বছরের এক প্রাণীর মাথা এমন তাজা অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল, তার উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।
আজকের নেকড়ের চেহারার সঙ্গে যদিও মেলে না তুষারযুগের নেকড়ের চেহারা। একটি মাথার দৈর্ঘ্যই যেখানে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার, সেখানে প্রাণীটির আয়তন যে আজকের তুলনায় বেশ বড়ো, তাতে আশ্চর্যের কী? কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, একই অঞ্চলে এত প্রাণীর ধড়হীন দেহ কীভাবে এল? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর অবশ্য মেলেনি এখনও। তবে মাটির নিচে এমন কত রহস্যই যে আছে, তার হিসাব আর কে রাখে?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পৃথিবীর প্রথম স্থলচর প্রাণী এটিই, নয়া প্রযুক্তির সাহায্যে সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা