করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, মহারাষ্ট্র সরকারকে পুনের ক্যাম্পাস হস্তান্তর উইপ্রো-র

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবার উঠে এল উইপ্রোর নাম। অন্যতম এই আইটি কোম্পানি পুনের ক্যাম্পাসটি বদলে ফেলছে হাসপাতালে। ৪৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষ কোভিড-১৯ ফেসিলিটি তৈরি হচ্ছে ক্যাম্পাস চত্বরে। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে উইপ্রোর।

মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সতেরো হাজার। তাই জরুরী তৎপরতায় এই কোভিড ফেসিলিটি হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে উইপ্রো। বেশ কিছু সহকারী কর্মচারী ছাড়াও চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং চিকিৎসার পরিকাঠামোও তৈরি করে দিচ্ছে সংস্থাটি। থাকছে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ২৪টি ঘর। তবে এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মাঝারি স্তরের রোগীদেরই চিকিৎসা হবে। অবস্থা সংকটজনক হলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যত্র। ১২টি শয্যা থাকছে সংকটজনক রোগীদের ইনটেনসিভ কেয়ার নিয়ে যাওয়ার আগে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার জন্য। পুরো ব্যবস্থাটিই উইপ্রো ৩০শে মে-র মধ্যেই হস্তান্তর করবে রাজ্যকে।

ব্যাঙ্গালোরের এই কোম্পানির চেয়ারম্যান, রিসাদ প্রেমজি এদিন উল্লেখ করেন, দেশের এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোই একমাত্র কর্তব্য তাঁদের। এখন মহামারীর প্রভাব ন্যূনতম করাই একমাত্র লক্ষ্য। উইপ্রোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

গত এপ্রিল মাসেও উইপ্রো অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল কোভিড-১৯ মোকাবিলায়। দান করেছিল ১১২৫ কোটি টাকা। তা ছাড়াও মুম্বাই, পুনে, আকোলা, চন্দ্রপুর সহ মহারাষ্ট্রের নানান জায়গায় ত্রাণ এবং স্বাস্থ্যগত সাহায্যের বন্দোবস্ত করেছিল সংস্থাটি। দেশের সংকটে উইপ্রোর এই অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হ,য় এক বছর পরে ক্যাম্পাসটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে আইটি সংস্থাটিকে। ততদিনে পরিস্থিতি হাতের মধ্যে চলে আসবে, এমনটাই আশাবাদী সরকার। এই আশায় বুক বাঁধছে দেশের সমস্ত মানুষও।