বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে র‍্যালি, সাক্ষী থাকবে রবিবারের কলকাতা

‘বন্যেরা বনে সুন্দর’। কিন্তু এই বন্যপ্রাণই বিগত কয়েক যুগ ধরে বিপদে পড়েছে। কখনও নগরোন্নয়ন, কখনও চোরাশিকারের বলি হয়েছে। ভারত ও বাংলাও তার ব্যাতিক্রম নয়। বন্যপ্রাণ রক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বেশ কিছু সংগঠন। সেই রকমই একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামীকাল, ৯ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হবে একটি ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাওয়ারনেস র‍্যালির।

এই নিয়ে পঞ্চম বর্ষে পড়ল ‘অনুভব’ সংগঠনের এই র‍্যালি। আশুতোষ কলেজ থেকে ঠিক ১১টা থেকে শুরু হবে এই র‍্যালি। শেষ হবে প্রিয়া সিনেমা হলের সামনে। তার আগে ৯টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত হবে রেজিস্ট্রেশন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কিন্তু কেন এই র‍্যালি? আয়োজকদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতে বন্যপ্রাণ রক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বটে, সচেতনতার প্রচারও চলছে। কিন্তু তাও থামানো যায়নি চোরাশিকার।

তার থেকেও বড় প্রশ্ন পরিবেশের। যত দিন যাচ্ছে, জঙ্গলের পরিমাণ কমছে পৃথিবী জুড়ে। ফলে পশুদের থাকার জায়গা কমে যাচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে লোকালয়ে ঢুকছে, ও মানুষদের হাতে মারা যাচ্ছে। এই সমস্ত কিছু যাতে বন্ধ হয়, সেটা নিয়েই এই র‍্যালি।

র‍্যালি এবং এই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন উজ্জ্বল পাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম আমরা। প্রহরকে তিনি জানিয়েছেন, “বড়দের এই সচেতনতার কথা বললে হাসে, সমর্থন জানায়। কিন্তু বাচ্চারা যদি বেশি করে এই ব্যাপারে যোগ দেয়, তবে তাদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়বে। ওদের মনের মধ্যেও দাগ কাটবে, আরও বেশি করে যুক্ত হবে। ভবিষ্যতে তারাও নিজেদের মতো করে এই কাজটি করতে পারবে। এছাড়াও, বাড়িতে গিয়ে মা, বাবা এবং পরিবার-বন্ধুদেরকে এই সম্পর্কে বোঝাতে পারবে।”

সারা বছর ‘অনুভব’-এর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বন্যপ্রাণ নিয়ে নানা অনুষ্ঠান। তারই একটি অংশ এই র‍্যালি। পাঁচ বছরে অংশ নেওয়া লোকের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই বাড়ছে সচেতনতাও। বিশেষ করে, এই অনুষ্ঠানগুলিতে শিশুরাও যোগদান করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এইভাবে সুস্থ পৃথিবীর বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন তাঁরা।

সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাঘরোল মৃত্যু। সচেতনতার অভাবে মানুষের আক্রমণে প্রাণ হারাচ্ছে এখানকার রাজ্য পশু। র‍্যালিতে এই বিষয়টিও তুলে আনা হবে। সব দিক থেকে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তারই চেষ্টায় ‘অনুভব’। আগামীকাল, র‍্যালিতে পা মেলাতে পারেন আপনিও। শুধু পৌঁছে যেতে হবে আশুতোষ কলেজের সামনে; সাড়ে দশটার মধ্যে।

More From Author See More