মহাবিশ্বকে চেনা তো দূরের কথা, কয়েকশো বছর আগে পর্যন্ত মানুষের পৃথিবী ও সূর্যের প্রদক্ষিণ সম্বন্ধেও সঠিক কোনো ধারণা ছিল না। ধীরে ধীরে, বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটে, পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের গায়ে চোখ রাখে মানুষ। মহাবিশ্বে যে আরও অনেক সৌর জগতের অবস্থান রয়েছে, তাও জানা যায়। ৭০০টি নতুন গ্রহের ওপর গবেষণা চলাকালীন, ২০১৪ সালে নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীদের কাছে উঠে আসে চমকপ্রদ কিছু তথ্য। কী সেগুলি?
গ্রহগুলির আকার পৃথিবীর মতোই অথবা তার চেয়ে একটু বড়। কিন্তু সেগুলি নেপচুনের সমান বড় হওয়ার আগেই, তাদের গায়ে একটি বিচ্ছিন্ন করা খাড়া দাগ দেখা যায়। গ্রহগুলির পৃষ্ঠতলে ম্যাগমার সমুদ্র থাকা সত্ত্বেও তাদের আকার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই ছোট। পৃথিবীর প্রায় তিনগুণ আকার ধারণ করার পর এই গ্রহগুলির পৃষ্ঠতলের ম্যাগমা পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডলকে শোষণ করে নেয়। ঠিক যেন আকাশ ‘গিলে নিচ্ছে’ গ্রহগুলি। আর এই ঘটনাই অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের।
জিওফিজিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক কাইটের মতে, বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত গ্যাস অল্প হলেও তা পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বাড়িয়ে দেয়, ফলত বায়ুমণ্ডলে পরবর্তীতে আসা বাকি গ্যাসগুলো ম্যাগমায় মিশে যায়। বহু পরীক্ষার পর এমন সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
ম্যাগমার এই আচরণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় বিজ্ঞানীরা। তাই যেসব গ্রহের ম্যাগমা ঠান্ডা এবং সহজেই ক্রিস্টালাইজড হয়, সেগুলির আচরণ ভিন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কাইট। আশা করা যায়, গ্রহগুলির পর্যাপ্ত আকারে বড় না হওয়ার বিস্তারিত কারণ আগামীদিনে আরও গবেষণার মাধ্যমে জানা যাবে।