করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে ইংল্যান্ড জুড়ে চলছে লকডাউন। রাস্তায় মানুষের দেখা নেই বললেই চলে। আর এই সুযোগেই আত্মপ্রকাশ করছে বহু বিরল প্রজাতির পশুপাখি। সর্বসমক্ষে তাদের এভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে অবাক হচ্ছেন সবাই। আর সেই প্রাণীটি যদি হয় এমন কিছু, ২৪০ বছর ধরে যার দেখা মেলেনি! হ্যাঁ, ২৪০ বছর পর এমনই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘটলো ইংল্যান্ডের শ্বেতপুচ্ছ ঈগলের। সৌজন্যে লকডাউন।
বিগত তিন শতক ধরে ইংল্যান্ড ও তার আশেপাশের দেশ থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ঈগল। একুশ শতকের শুরুতে কিছু সংস্থার উদ্যোগে ঈগলদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও, তার আগেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বহু প্রজাতি। তেমনই একটি প্রজাতি এই শ্বেতপুচ্ছ ঈগল বা সমুদ্র ঈগল। না, বিলুপ্ত হয়নি এই প্রাণী। তবে বিশেষজ্ঞরা তার সন্ধান পাননি দীর্ঘদিন। এমন সময় হঠাৎ একদিন আকাশে দেখা গেল একটি পাখিকে। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন চোখের ভুল। পরে আরও ভালো করে দেখে নিশ্চিত হলেন বিশেষজ্ঞরা।
একসময় ইংল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে বাস করত নানা প্রজাতির অতিকায় ঈগল পাখি। পরে দূষণের প্রভাবেই মূলত তাদের বাসস্থান ত্যাগ করে যেতে বাধ্য হয়। তবে এখন তাদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে অনেক সংস্থাই। সরকারের পক্ষ থেকেও ২৫ বছরের বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘটাল সমুদ্র ঈগল। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই পাখি বিখ্যাত তার গতিবেগের জন্যও। অবশেষে এই প্রাণীর দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিশেষজ্ঞরা।
সরকারি সংস্থার তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, সমুদ্র ঈগলকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তার বাসস্থান। লকডাউনের জন্য রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে যেতেই যেন নতুন করে সেজে উঠছে প্রকৃতি। তার শরীরের ক্ষত সেরে উঠছে ধীরে ধীরে। এখন এইসব প্রাণীদের উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে যে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যের অনেকটাই ফিরে পাবে পৃথিবী, সেকথা বলাই বাহুল্য।