একটু একটু করে শুকিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত জল। যত এগোচ্ছে, তত যেন দৃশ্যটা বদলে যাচ্ছে। ঘন নীল রং বদলে হয়ে গেল কঠিন মাটি। এক ফোঁটাও জল নেই সেখানে। এমনই পৃথিবীকে দেখালেন জেমস ও’ডোনঘ। তবে সামনাসামনি না, ভিডিও’র মাধ্যমে।
জেমস একসময় কাজ করতেন নাসায়। এখন জাপানের স্পেস সেন্টারের একজন বিজ্ঞানী তিনি। পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর একভাগ স্থল, এই জেনে এসেছি আমরা। এই তিনভাগ জলও যদি স্থল হয়ে যায়! বেরিয়ে পড়ে ভেতরের ভূখণ্ড? সেটা বুঝতেই তিনি হাতিয়ার করেন ভিডিওকে। নাসার এক অ্যানিমেটর হোরাস মিশেলের তৈরি করা একটি ভিডিও দেখেন তিনি। সেই ভিডিওকেই আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন তিনি।
জেমস দেখিয়েছেন, ক্রমশ জলস্তর নেমে গেলে কীভাবে ধাপে ধাপে পরিবর্তন হয় ভূপৃষ্ঠের। প্রথমে মহাদেশের ধারগুলি উন্মুক্ত হয়। তারপর আস্তে আস্তে নদী নালা মহাসাগর সমস্তটা শূন্য হয়ে যায়। শুধু মারিয়ানা খাত-সহ সমুদ্রের যে গভীর অঞ্চলগুলি আছে, সেগুলি তারপরেও থেকে যায়।
নিছক সামান্য একটি ভিডিও হলেও, আমাদের কাছে একটা সতর্কবার্তাও নিয়ে আসে এটি। পরিবেশ দূষণ ও বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমশ বাড়ছে। গলে যাচ্ছে বরফ। আমাদের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে নদী নালাগুলির অবস্থা এমনিই ভয়াবহ। সমুদ্রের জলও সেখান থেকে বাদ যায় না। যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীর ভেতরের কঙ্কালসার চেহারাটা সামনে বেরিয়ে আসবে। ভিডিওটি দেখার পর নিজেকে একবার প্রশ্ন করা যাক। এমন দৃশ্য কি আমরা দেখতে চাই? এমন নির্জলা কঠিন পৃথিবী কি আমরা চাই? তাহলে যে সমস্ত ভারসাম্য, সমস্ত প্রাণীজগৎ বিপদে পড়বে…