করোনা রুখতে এবার রাজ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট, রিপোর্ট মিলবে ১০ মিনিটেই

রাজ্যে চলছে সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউন। কিন্তু তার পরেও আয়ত্তে আসছে না ভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। করানো হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা। যা একদিনে রাজ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু পরিস্থিতির সাপেক্ষে এই সংখ্যক টেস্টও যথেষ্ট নয়। তাই এবার অ্যান্টিজেন টেস্টের দিকেই হাঁটল রাজ্য। সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে এই টেস্ট, ঘোষণা করল নবান্ন।

রাজ্যে এই মুহূর্তে রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫৭টি ল্যাবরেটরি। আরও তিনটি ল্যাবরেটরির প্রস্তুতি চলছে। যেগুলি শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। ফলে আরও খানিকটা বাড়বে টেস্টের সংখ্যা। কিন্তু আরটিপিসিআর যন্ত্রে টেস্ট করানো বেশ সময় সাপেক্ষ। বর্তমানে এটিই একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের কাছে। রাজ্যে যেরকম দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে করোনা, তাতে তৎক্ষণাৎ চিহ্নিতকরণ না হলে সম্ভাবনা বাড়ছে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার। সেই কারণেই অ্যান্টিজেন টেস্টের সিদ্ধান্ত সরকারের। বিশেষজ্ঞদের মতামত একমাত্র র্যাপপিড টেস্টেই আটকানো যাবে সংক্রমণ।

অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যায় মাত্র ১০ মিনিটেই। পাশাপাশি একটি কিটেই দশ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে। তবে অনেকসময়ই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও। ভাইরাল লোড ৭০ শতাংশের বেশি থাকলে এই পরীক্ষায় কোনোরকম অসুবিধা হয় না। তবে ভাইরাল লোড কম হলে তখন আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক।

গত মাসের ১৫ তারিখেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় শিলমোহর দিয়েছিল আইসিএমআর। এবার অবস্থার পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তই নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে খবর শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভাতেই দৈনিক ৮০০ অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হতে চলেছে। এর ফলে টেস্টের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই সহজ হবে চিকিৎসকদেরও কাজ। সম্ভব হবে সংক্রমণকে সীমাবদ্ধ করা, এ ব্যাপারে আশাবাদী স্বাস্থ্যমহল। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গেছে অ্যান্টিজেন টেস্টকিট।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সুস্থতার হার তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তবে গত তিনদিনেই প্রতিদিন ২০০০-এর বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তার ফলে মঙ্গলবার আবার সুস্থতার হার পৌঁছাল ৬৬.৫৩ শতাংশে। যা এই কঠিন সময়েও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে একটি বড় সাফল্য। 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
রাজ্যে করোনা-আক্রান্তদের অধিকাংশই ১৬-৪৫ বছর বয়সি, জানাচ্ছে রিপোর্ট