একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস । পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিকল। আর এর মধ্যেই এক বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার বিকালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের সমস্ত মানুষকেই এবার নিয়ে আসা হবে সরকারি স্বাস্থ্যবিমার অধীনে। সেইসঙ্গে প্রকাশ করেন নতুন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও।
অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মতো অফিসে অফিসে ঘুরে নাম নথিভুক্ত করতে হবে না এক্ষেত্রে। সরকারি প্রতিনিধি নিজেই পৌঁছে যাবেন প্রত্যেকের বাড়ি। বাড়ির কত্রী হিসাবে একজন মহিলার নামে কার্ড ইস্যু করা হবে। সব হয়ে গেলে স্থানীয় অফিস থেকে শুধু কার্ডটি সংগ্রহ করে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৭৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। অর্থাৎ সংখ্যাটা ৭.৫ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু সেখানেই আটকে না থেকে, সমস্ত মানুষের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরিষেবা পৌঁছে দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
নবান্ন সূত্রে এও জানানো হয়, ইতিপূর্বে অন্য কোনো রাজ্য সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম এই কাজ করে দেখাচ্ছে। আর ডিসেম্বর মাস থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে যেমন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে, সেটা তো যাবেই। তাছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে। আর এই সমস্তটাই রাজ্য সরকার একক উদ্যোগে করছেন। প্রতিটা মানুষের সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করার প্রশ্নে নিঃসন্দেহে বিরাট উদ্যোগ এটি।
Powered by Froala Editor