২০২০-র গোড়া থেকেই করোনা যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এক মুহূর্তের জন্যও খামতি নেই। প্রতিদিন দেখছেন রোগীদের ভিড়। পিপিটি পোশাকের বর্মের আড়াল থেকেই লড়ে যাচ্ছেন আণুবীক্ষণিক আতঙ্কের বিরুদ্ধে। অধিকাংশই বেঁচে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন, কেউ কেউ পারছেন না। কিন্তু চেষ্টায় একচুলও ত্রুটি নেই। এবার সেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন একদল পড়ুয়া। চিকিৎসকদের সঙ্গে একজোট হয়ে তাঁরাও লড়াইয়ে নামলেন। যে উদ্যোগ রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছে সমাজের বুকে।
সৌম্যসারথি গাঙ্গুলি, সুস্মিতা দাস, সম্পূর্ণা ঘোষ এবং শুদ্ধা চট্টোপাধ্যায়— এই চারজনই মাইক্রোবায়োলজির পড়ুয়া। সেইসঙ্গে চারজনই যুক্ত মাইক্রোবায়োলজিস্ট সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া নামের সংস্থার সঙ্গে। করোনার এই অতিমারীর সময় এঁরাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করার রাস্তাকে বেছে নিয়েছেন। বাড়ি থেকে একটু বাধা এসেছিল প্রথমে, পরে তা কেটেও যায়। এখন তাঁরা সবাই গর্বিত। পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেই হাসপাতালে কোভিড ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছেন এই চারজন।
দিনের শেষে আর কিচ্ছু নয়, এত সংখ্যক মানুষের পাশে যদি একটু দাঁড়ানো যায় সেটাই বড়ো কথা। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ভয়ানক হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করেছে আইএমএ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিটা হাসপাতালে চাপ বেড়েই চলেছে। সেই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বাংলার চার পড়ুয়ার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সবাই। যেখানে করোনার ভয়কে জয় করার বার্তা উঠছে দিকে দিকে, সেই মন্ত্রকেই আরও জোরালো করে তুললেন এই চার ছাত্রছাত্রী। দূরত্ব বজায় রেখেও একসঙ্গে মিলে কাজ করলে করোনাকে হারানো সম্ভব। তাই, সুস্থ থাকতে হবে। আর দুরত্বে থাকতে হবে।
Powered by Froala Editor