তিনি চেয়েছিলেন আত্মহত্যা করবেন, কিন্তু অদৃষ্টের বোধ হয় এমন ইচ্ছা ছিল না। কয়েকদিন আগেকার ঘটনা। বছর কুড়ির ওই যুবতী সাঁতার জানতেন না। ভেবেছিলেন গঙ্গায় ডুবে আত্মহত্যা করবেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও কচুরিপানায় জড়িয়ে যায় পা। ফলে উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহর থেকে ভাসতে ভাসতে চলে এসেছিলেন চন্দননগরের রানিঘাটের কাছে।
পরদিন সকালে ওই তরুণীকে চোখে পরে শেখ রাজু নামে এক মৎস্যজীবীর। প্রথমে ভেবেছিলেন মৃতদেহ। পরক্ষনেই দেখতে পান তরুণীর হাত নড়ছে। এরপর তিনি ও অন্যান্য মৎস্যজীবীরা ওই যুবতী কে দড়ি ছোঁড়েন। দড়ি ধরতে পারেননি তিনি। এরপর নৌকাটি তরুণীর কাছে নিয়ে আসেন শেখ রাজু। তারপর নিজেই দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘাটে নিয়ে আসেন তাকে। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। পুলিশ এসে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত ওই তরুণী। তরুণীর মা জানান যে তাঁদের সঙ্গে রাগারাগির জন্য মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিল। মেয়ে যে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। ঘাটের কর্মী ও মাঝিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
কচুরিপানায় পা জড়িয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেন ওই তরুণী। কিন্তু সাঁতার না জানা সত্ত্বেও কেবল কচুরিপানায় পা জড়িয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের ঘাট পর্যন্ত ভেসে এলেন তরুণী এমনটা ভাবতে পারছেন না অনেকেই।