কথায় বলে, ছেলেবেলার বন্ধুত্ব সারাজীবন থেকে যায়। আজকাল এমন কথা শুনলে অবশ্য অবাক লাগাই স্বাভাবিক। কারোর সঙ্গে কারোর যোগাযোগই থাকে না আর। তবে এর মধ্যেই তামিলনাড়ুর দুই বন্ধুর ঘটনা সত্যিই অবাক করে। স্কুল শেষ হয়েছে প্রায় ৩০ বছর আগেই। অথচ অমোঘ সেই বন্ধুত্বের টান।
৪৪ বছরের মুথুকুমার একজন ট্রাক ড্রাইভার। পৈতৃক সূত্রে সেটাই তাঁর জীবিকা। লকডাউনের আগে রোজগার যা হত তাতে মোটামুটি চলে যেত। কিন্তু লকডাউনের পর মাসিক আয় এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র হাজার খানেকের গণ্ডিতে। তার মধ্যে দুবছর আগে ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বাসগৃহ। এরকম অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মুথুকুমার। আর ঠিক সেইসময়েই দেওয়ালির উপহার নিয়ে হাজির বন্ধু কে নগেন্দ্রন।
পুরনো স্কুলের এক শিক্ষকের বাড়িতে আবার দেখা দুই বন্ধুর। প্রায় ৩০ বছর পর। আর তখনই মুথুকুমারের সাংসারিক অবস্থার কথা জানতে পারেন কে নগেন্দ্রন। ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। উপহারটা ঠিক করে ফেলেছেন তখনই। তারপর মাত্র ৩ মাসে তৈরি করে দিলেন একটি পাকা বাড়ি। ছেলেবেলার বন্ধুর জন্য এটা কি খুব বড়ো উপহার? কী জানি…
Powered by Froala Editor