আম্লিক হচ্ছে সমুদ্রের জল, চলতি শতাব্দীতেই হারিয়ে যেতে পারে প্রবাল প্রাচীর

করোনার জেরে থমকে আছে জনজীবন। কিন্তু প্রকৃতি নিজের মতো করে ঠিকই নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে। খবরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই ছবি দেখতে পাচ্ছি আমরা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে ক্ষতি হয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তাকে কি এত সহজেই অস্বীকার করতে পারবে কেউ? বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা সেই প্রশ্নটাকেই তুলে ধরল। তাঁদের সমীক্ষা অনুযায়ী, সমুদ্রের জল ধীরে ধীরে উষ্ণ হচ্ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে অ্যাসিডের মাত্রা। এমন হলে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে প্রবালরা। এমন চলতে থাকলে, এই শতাব্দীতেই পৃথিবীর সমস্ত কোরাল রিফগুলো নষ্ট হয়ে যাবে!

বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, যে হারে পরিবেশ দূষণ বেড়ে চলেছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সমুদ্রের জীবজগতের ওপর। কোরাল বা প্রবালরাও একপ্রকার ভুক্তভোগী। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর প্রবাল প্রাচীরগুলোর অবস্থা ভালো নয়। অনেক জায়গায় প্রবালরা তাদের উজ্জ্বল রং হারাচ্ছে, কোনো জায়গায় ক্ষয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো কোরাল রিফ, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট বেরিয়ারের অবস্থাও ভালো নয়। তারই মধ্যে সমুদ্রের দূষণ বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রা তো বাড়ছেই; উপরন্তু অনেক জায়গায় জল অতিরিক্ত অ্যাসিডিক বা আম্লিক হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আরও বেকায়দায় পড়েছে প্রবালরা।

এখানেই সতর্কবাণী দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, এরকম চলতে থাকলে সমুদ্রের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রবাল প্রাচীর খুব শীঘ্রই নষ্ট হয়ে যাবে। আগামী ২০ বছরের মধ্যেই এমন দশা হতে চলেছে। এরপরেও আমাদের হুঁশ না ফিরলে, ২১০০ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে প্রবালরা। আর প্রবাল যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তবে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র একদম ভেঙে পড়বে। অনেক প্রাণীর অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। কাজেই, এখনও সচেতন না হলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করে আছে ভবিষ্যতে।

More From Author See More