দুর্গোৎসবের পথেই হাঁটল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, প্রবেশ নিষেধ দর্শনার্থীদের

করোনা পরিস্থিতির কারণে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, দেবদারু ফটক কিংবা বাগবাজারের মতো পুজো কমিটি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার। তারপর কলকাতা আদালত নিয়ম করেই নিষিদ্ধ করে মণ্ডপে প্রবেশ। দুর্গাপুজোর পর চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রেও ফুটে উঠবে সেই একই ছবি। বুধবার চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিল এমনটাই। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরাও।

কলকাতা হাইকোর্টের করে দেওয়া দুর্গাপুজো সংক্রান্ত সমস্ত গাইডলাইনই মেনে হবে এবারের জগদ্ধাত্রীপুজো। মণ্ডপের ১০ মিটার আগে থেকেই করে দেওয়া হবে ব্যারিকেড। দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং সিভিক পুলিশের সঙ্গে থাকবে পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও।

তবে চন্দননগরের প্রতিমা এবার কেমন হবে, তা নিয়েই তৈরি হচ্ছিল বিতর্ক। এদিন বৈঠকে ঠিক হয়, পুজো কমিটি চাইলেই চিরাচরিত মূর্তিপুজো করতে পারে। জনসমাবেশ এড়াতে চেয়ে কাঠামোর ওপরে দেবীর প্রতিচ্ছবি ছাপানো ফ্লেক্স লাগিয়ে ঘটপুজো করার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বৈঠকে ঠিক হয় ১১৯টি পুজোয় মূর্তি হবে স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই। ৩৩টি পুজো কমিটি করবে ঘটপুজো।

অধিকাংশ পুজো কমিটিই জানিয়েছে, চতুর্দিক খোলা মণ্ডপ তৈরিতে আগ্রহী তারা। কাজেই ১০ মিটার দূরত্বে ব্যারিকেড থাকলেও প্রতিমা দেখতে অসুবিধা হবে না দর্শনার্থীদের। দুর্গাপুজোর দশমীর দিনই রীতি মেনে চন্দননগরের সমস্ত পুজো কমিটিরই কাঠামো পুজো হয়ে গেছে। এবার শুধু প্রতীক্ষা আর কিছুদিনের। নিও-নর্মাল পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়েই উৎসবে মাতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ফরাসডাঙ্গা...

Powered by Froala Editor