মেক্সিকোর একটি ছোট্ট গ্রাম তিলতাপাক। ৭০টি পরিবারের মধ্যে বাস করেন মোটামুটি ৩০০ জোপোটেক উপজাতির মানুষ। কিন্তু এই ৭০টি বাড়ির একটিতেও কোনো জানলা নেই। আর থেকে হবেই বা কী? জানলায় বসে প্রকৃতির রূপ দেখার মতো মানুষও যে নেই। নেই কারণ একটি গ্রামের প্রত্যেকেই সেখানে অন্ধ। শুধুই মানুষ নয়। গ্রামের কুকুর, বিড়াল এবং অন্যান্য প্রাণীরাও প্রত্যেকেই অন্ধ। যদিও কেউই জন্মান্ধ নন। আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নিয়ে জন্মেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যান প্রত্যেকেই।
তিলতাপাক গ্রামের এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার বিষয়। এই পৃথিবীতে আজও কতই না আশ্চর্যের ঘটনা ঘটে। সেই শেক্সপিয়ারের জনপ্রিয় সংলাপেরই উদ্ধৃতি করছেন অনেকে। গ্রামবাসীরা কিন্তু নিশ্চিত, একটি স্থানীয় গাছের অভিশাপ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে অন্ধত্ব। সেই বিশেষ গাছের দিকে তাকালেই হারিয়ে যাবে দৃষ্টিশক্তি।
অবশ্য গ্রামবাসীদের এই ধারণায় একেবারেই আমল দিতে চান না চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, কোনো বিষাক্ত পোকার কারণেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। অবশ্য এখনও তেমন কোনো পোকার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এই অন্ধত্ব কোনোভাবে জিনগত পরিবর্তন ঘটাতে পারে কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সব মিলিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গেই জমা হয়েছে আতঙ্ক।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র থেকে উদ্ধার শিশুর কঙ্কাল