“আধুনিক সমস্যা বলে কোনো পদার্থ নেই, মানুষের সব গুরুতর সমস্যাই চিরকালের।” লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। দেশভাগ ও ছেচল্লিশের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাই বাঙালির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ইডিপাসের। গ্রিক ট্র্যাজেডির ইডিপাসের মতোই সেদিন বাঙালিকেও যেন তাড়া করেছিল এক অমোঘ নিয়তি। অন্তত এভাবেই স্বাধীনতার প্রাক-মুহূর্তকে দেখতে চেয়েছিলেন নাট্যকার ব্রাত্য বসু, তাঁর ‘হৃদিপাশ’ নাটকে। ইতিহাসবিদ মিলিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, সর্বকালে, সর্বত্র রাষ্ট্রের নির্মাণের সঙ্গে জুড়ে থাকে এমনই রক্তক্ষয়ের ইতিহাস। রাজা পৃথুর পদানত হয়েই তো মাতা ধরিত্রী হয়ে উঠেছিলেন ‘পৃথিবী’। সেই কাহিনিই আবার ফিরে আসে পরশুরামের মাতৃহত্যার আখ্যানে। রাষ্ট্রের ইতিহাস তাই আসলে পিতৃহত্যা এবং মাতৃগমনেরই ইতিহাস। মহাভারত, পুরাণ থেকে শুরু করে গ্রিক ও এলিজাবেথীয় ট্র্যাজেডিতে মিলেমিশে যায় সেই কাহিনি। তবে এই ট্র্যাজেডি কি সত্যিই অমোঘ নিয়তি? দেশভাগের বিকল্প ইতিহাসের সম্ভাবনাও কি ছিল না? বিশিষ্ট অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ সুগত বসুর কথায় উঠে এল সেই প্রশ্নও।
গত ১৩ জানুয়ারি, রাজারহাটের আর্টসএকর ফাউন্ডেশনের সভাঘরে এমনই এক মনোজ্ঞ আলোচনায় মুখোমুখি হয়েছিলেন সুগত বসু, ব্রাত্য বসু এবং মিলিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরাণ, মহাকাব্য থেকে গ্রিক ট্র্যাজেডির অনুষঙ্গে তাঁরা নতুন করে খুঁজতে চাইলেন দেশভাগের ইতিহাসকে। সমগ্র আলোচনাটি আয়োজন ও পরিচালনা করেছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন।
এই আয়োজনের সঙ্গে জুড়ে ছিল প্রহর.ইন-ও।
‘গ্রিক ট্র্যাজেডি, মহাভারত ও দেশভাগ: পিতৃহত্যার পুনরভিনয়’ – সম্পূর্ণ আলোচনাটি আজ সম্প্রচারিত হচ্ছে প্রহর.ইন-এর ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে। দেখুন -