এতদিন সেখানে ছিল মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা। এখনও পুলিশ ও সেনাদের জন্য গোলা, বারুদ, অস্ত্র ইত্যাদি তৈরি হত। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে এগুলো কোনো কাজে আসবে না। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে জিততে গেলে আমাদের চাই অন্য কিছু। সেইজন্যই এখনকার ‘সৈনিক’ ডাক্তারদের জন্য গোলা বারুদের পরিবর্তে ভেন্টিলেটর মেশিন তৈরি করতে শুরু করল ভারত সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রক বা এমএসএমই কারখানা।
উত্তর শহরতলির বনহুগলির কারখানাতেই তৈরি হচ্ছে এই ভেন্টিলেটর। করোনা দমনের জন্য কেন্দ্র, রাজ্য প্রত্যেকেই উঠে পড়ে লেগেছে। যুদ্ধক্ষেত্র, অর্থাৎ হাসপাতালগুলিতে দম ফেলারও সময় নেই। ডাক্তাররাও প্রাণপণে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই চিকিৎসার অন্যতম প্রয়োজনীয় অস্ত্র ভেন্টিলেটর মেশিনের অভাব রয়েছে এই দেশে। সেই তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। আর করোনার চিকিৎসার জন্য, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের জন্য এই যন্ত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেইজন্যই বনহুগলির এমএসএমই কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভেন্টিলেটর। খবর অনুযায়ী, এই ভেন্টিলেটরের দাম বেশ কম হবে; কিন্তু চলবে অন্তত তিন বছর! এছাড়াও এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে আইওটি সেন্সর, যার জন্য নিজের চেম্বারে থেকেই চিকিৎসকরা মোবাইলের মাধ্যমে রোগীর আপডেট পেতে পারেন।
আপাতত আইসিএমআরের অনুমোদনের অপেক্ষায় সবাই। সেটা এলেই সমস্ত জায়গায় পৌঁছে যাবে এই ভেন্টিলেটর। এর আগেও বনহুগলির এমএসএমই কারখানার তৈরি করা হেডশিট সমস্ত জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি, টেস্ট কিটও তৈরি করা হচ্ছে এখানে। সব মিলিয়ে নতুন করে অস্ত্র তৈরির পথে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। নাই বা তৈরি হল গোলা-বারুদ, এখন তো এই জিনিসগুলোই আসল!