আন্দিজ পর্বতের কোলে নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে দিন কাটে ভেনেজুয়েলার মানুষের। শুধুই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, ভেনেজুয়েলার খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যও উল্লেখ্য দাবি রাখে। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেলের ভাণ্ডার তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে আছে কোলটান, ফসফরাস, বক্সাইট এবং সোনা ও লোহা। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও অভাব যেন ভেনেজুয়েলার মানুষের চিরসঙ্গী। দারিদ্র্য, বেকারত্ব আর অনাহার পিছু ছাড়েনি কোনোদিন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা যেন সাম্প্রতিক সমস্ত স্মৃতিকে মলিন করে দিয়েছে।
বিগত কিছু বছরের মধ্যে ভেনেজুয়েলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ। আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দারিদ্র্য। দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ চরম আর্থিক দুরাবস্থার সম্মুখীন। আর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বিপর্যস্ত রেশন ব্যবস্থা।
ভেনেজুয়েলায় সরকারিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় হিসাবে স্বীকৃত খাদ্যবস্তুর উপর সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা বজায় রাখলেও তার সুফল থেকে বঞ্চিত মানুষ। রেশনের খাবার অধিকাংশ সময়েই সীমান্ত পেরিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী কলোম্বিয়া বা তাচিরাতে। কিন্তু এই ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ ভেনেজুয়েলার সরকার। আর এর মধ্যেই করোনা পরবর্তী দুনিয়ায় খাদ্যসংকটের সম্ভবনার কথা ঘোষণা করেছে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ।
এই সংকটের প্ৰভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে চলেছে ল্যাটিন আমেরিকায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে সেদেশের মানুষ। এর মধ্যেই রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বেহাল অর্থনৈতিক পরিবেশ। তাতে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কিছু হবে কিনা জানা নেই, কিন্তু অনাহারের সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকাও সম্ভব নয়। ফলে সংশয়ে সে-দেশের ভবিষ্যতও...
আরও পড়ুন
নববর্ষে গরিব নাগরিকের ঘরে জ্বলল আলো, মানবিক উদ্যোগ ফ্রান্সের বিদ্যুৎকর্মীদের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
গরিব শিশুদের খেলনা উপহার ৮০ বছরের বৃদ্ধের, বড়দিনের ‘সান্টাক্লজ’ তিনিই