গত ১৯ জুলাই তেলেগু কবি ভারভারা রাওয়ের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তিনি ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে। অবশেষে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানাল প্রশাসন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁকে আবার নবি মুম্বাইয়ের তলোজা জেলে নিয়ে যায় পুলিশ।
এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় ছিল তাঁর নাম। তলোজা জেলে বন্দি থাকাকালীন গত ২৮ মে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয় জেজে হাসপাতালে। কিন্তু জামিনের অনুরোধ খারিজ করার জন্যই হাসপাতাল থেকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া রিপোর্টে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক দেখানো হলেও, তাঁর রিপোর্ট স্বাভাবিক ছিল না বলেই অভিযোগ জানিয়েছিল তাঁর পরিবার।
তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির পরেও জামিন না মেলায় সরব হয়েছিল দেশের বিভিন্ন মহল। কার্যত তার পরেই ১৩ জুলাই তাঁকে আবার ভর্তি করা হয় জেজে হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অবহেলা করার অভিযোগ তোলে ভারভারা রাওয়ের পরিবার। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে নোটিশ জমা পড়েছিল, চিকিৎসা এবং শারীরিক যত্ন মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। ফলে বন্দিদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নজর রাখাও প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
মানবাধিকার কমিশনের আবেদনে টনক নড়েছিল প্রশাসনের। তারপরেই গঠিত হয় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উচ্চ-চিকিৎসার জন্য। ৮১ বছর বয়সী অশীতিপর কবির শারীরিক অবস্থার কথায় চিন্তিত ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। অবশেষে তাঁর আরোগ্যের সংবাদ খানিকটা হলেও আশ্বস্ত করল সকলকে...
আরও পড়ুন
মৃত্যুশয্যায় কবি ভারভারা রাও, জানালেন তাঁর আইনজীবী
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনায় আক্রান্ত জেলবন্দি কবি ভারভারা রাও, বাড়ছে দুশ্চিন্তা